তীব্র শীতে রবিশস্য ও বোরো ধানে কোল্ড ইনজুরি,পাবনা অঞ্চলের কৃষকদের দুশ্চিন্তা

তীব্র শীতে রবিশস্য ও বোরো ধানে কোল্ড ইনজুরি,পাবনা অঞ্চলের কৃষকদের দুশ্চিন্তা

তীব্র শীতে রবিশস্য ও বোরো ধানে কোল্ড ইনজুরি,পাবনা অঞ্চলের কৃষকদের দুশ্চিন্তা

পাবনা অঞ্চলে টানা ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে রোপণ করা বোরো ধান, বীজতলাসহ রবি ফসলের। এছাড়া পেঁয়াজ, রসুন, গম, মরিচ, মসুরি, সরিষা ও ভুট্টার কোল্ড ইনজুরি ও পোকার আক্রমণে কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

 জেলায় সাধারণত গম, ভুট্টা পেঁয়াজ, রসুন, শাকসবজি ও ধনিয়াসহ শীতকালীন বিভিন্ন ধরণের সবজি উৎপাদিত হয়ে থাকে। এছাড়া রসুন, পেঁয়াজ, ফুলকপি,বাঁধাকপি, সরিষা, মসুরিসহ নানা ধরণের ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। বিশেষ করে রসুনের গাছ হলুদ বর্ণের হয়ে আগা শুকিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী এর নামকরণ করা হয়েছে পার্পল ব্লচ রোগ।

পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ  জেলায় ৫৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের ধান রয়েছে ৯ হাজার ৮০০ হেক্টর ও উফশী জাতের ধান রয়েছে ৪৭,০০০ হাজার হেক্টর জমিতে। বিভিন্ন অ লে বোরো ধান রোপণের কাজ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া এ মৌসুমে পেঁয়াজ ৫৩,২৭৫  হেক্টর, রসুন ৯,৫০০ হেক্টর , সরিষা ৫০ হাজার ৩৫ হেক্টর, গম ২৪,০০০ হেক্টর, আলু ৮৫০ হেক্টর, ভুট্টা ২,৫৮০ হেক্টর, মসুরি ৯,৫৬০ হেক্টর, সবজি ২১,৩০০ হেক্টর, মরিচ ৫২৫ হেক্টর, খেসারী ১৪,৫৯০ হেক্টর, মটর ১,১৮২ হেক্টর, কালোজিরা ৪৩০ হেক্টরসহ অন্যান্য ফসলের চাষ হয়েছে।

সরজমিনে দেখা যায়, ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে কিছু কিছু এলাকায় বোরো ধানের বীজতলা ও রোপনকৃত চারা হলুদ ও লালচে রং ধারণ করেছে। ফলে ক্ষেতে চারা রোপণের আগেই শীত এবং কুয়াশা মারাত্মক হুমকি হয়ে পড়েছে বলে বলছেন কৃষকেরা।

এদিকে শীতের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে ক্ষেতে দেখা দিয়েছে ছত্রাকজনিত নানা রোগ। বোরো ও বরিশস্যের  ক্ষেতে বালাইনাশক ওষুধ স্প্রে করেও কোন কাজ হচ্ছে না। কোল্ড ইনজুরিতে রীতিমত আলুর ক্ষেত ও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেই সাথে পেঁয়াজ ও রসুন বপণের পর শুরু হওয়া তীব্র শীতে গাছের পাতাগুলো হলুদ বর্ণের পাতা শুকিয়ে গেছে বলে গয়েশপুর ইউনিয়নের কৃষকরা জানিয়েছে। তীব্র ঠান্ডা কুয়াশাজনিত কারণে প্রায় ৫ থেকে ৭ শতাংশ রবিশস্য ও শাকসব্জি নষ্ট হওয়ার আশঙ্খা করেছেন পাবনা অ লের কৃষক।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. জামাল উদ্দিন জানান, কিছুদিন ঘন কুয়াশা ও শীত বেড়ে যাওয়ায় রোপণকৃত চারার গ্রোথ ভালো হয়নি। তবে শীত কম হলেই সবই ঠিক হয়ে যাবে এতে চিন্তার বা ক্ষতির  কোন কারণ নেই। আর শীতের প্রকোপ থেকে আলু পেঁয়াজ ও রসুনসহ বিভিন্ন ধরণে রবিশস্যে রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।