বিশ্ব ইজতেমায় এবার বয়ান হবে যেসব ভাষায়

বিশ্ব ইজতেমায় এবার বয়ান হবে যেসব ভাষায়

ছবি: সংগৃহীত

টঙ্গীর তুরাগ নদের পাড়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম গণজমায়েত হিসেবে পরিচিত বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি)। বিশ্ব ইজতেমায় ৩ দিন অবস্থান করবেন তাবলিগের সাথীরা। 

আগতদের উদ্দেশ্যে বয়ান করবেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বিরা। প্রতিবারের মতো এবারো বিশ্ব ইজতেমায় আগতদের উদ্দেশে মূল বয়ান করা হবে উর্দুতে। এরপর তা বাংলা, আরবিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হবে।

তুরাগ তীরে বিদেশ থেকে আগতদের জন্য রয়েছে আলাদা থাকার ব্যবস্থা। বিদেশি ছাউনির পূর্ব পাশে তৈরি করা হয়েছে মূল বয়ান মঞ্চ। এ মঞ্চ থেকেই উর্দুতে বয়ান করা হবে এবং এখান থেকেই বয়ানের বাংলা অনুবাদ করা হবে। তবে অন্যান্য ভাষাভাষীদের জন্য বয়ানের অনুবাদ করা হবে তাদের জন্য নির্ধারিত ছাউনিতে। প্রত্যেক ছাউনিতে মূল বয়ান অনুবাদ করার জন্য একজন করে দোভাষীর ব্যবস্থা রাখা হয় ইজতেমায়।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তাবলিগের আলমী শূরা সংশ্লিষ্ট মুফতি মোশাররফ হুসাইন।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৬ সালে প্রথমবারের মতো কাকরাইল মসজিদে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পে এবং ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে তাবলিগ জামাতের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। দিন দিন লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর পাগাড় গ্রামের কাছে (টঙ্গীর মনসুর জুট মিলের নিকটে) একটি মাঠে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই ইজতেমায় বিদেশি কয়েকটি জামাতও অংশ নেয়। এখান থেকেই এর নাম হয় বিশ্ব ইজতেমা।

১৯৬৭ সালে টঙ্গীর তুরাগ নদের পাড়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার তুরাগ পাড়ের ১৬০ একর জমি তাবলিগ জামাতের জন্য বরাদ্দ দেয়।

২০১১ সালের আগে একপর্বে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হত। স্থান সংকট এবং জনদুর্ভোগ বিবেচনা ও মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি, আইন-শৃ্ঙ্খলা উন্নতি ও নিরাপত্তা প্রদানের নিমিত্তে তাবলিগের শুরা সদস্যদের পরামর্শের ভিত্তিতে তিন দিন করে ২ ধাপে ইজতেমা আয়োজনের কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।