মিষ্টি আলুর উপকারিতা

মিষ্টি আলুর উপকারিতা

ছবিঃ সংগৃহীত।

মিষ্টি আলু খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। এই আলুর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। শীতকালসহ সারা বছরই পাওয়া যায় এই আলু। দেখতে আলুর মতো হলেও রঙে ও স্বাদে ভিন্ন এটি।এমনকি আলুর চেয়েও বেশি উপকারী মিষ্টি আলু। শীতকালে বেশ কয়েকটি কারণে মিষ্টি আলু খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

একাধিক ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু। ভিটামিন এ, সি ও ভিটামিন বি৬ এর ভালো উৎস হলো মিষ্টি আলু। অন্যদিকে পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ পদার্থও আছে মিষ্টি আলুতে।পাশাপাশি এতে আছে আয়রন, সোডিয়াম ও ক্যালসিয়াম। মিষ্টি আলু ফাইবারের গুণে সমৃদ্ধ। এছাড়া এই আলুতে কার্বোহাইড্রেট আর প্রোটিনের পরিমাণও বেশি থাকে।

অন্যদিকে এতে ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম। চলুন জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি আলু খেলে কী কী উপকার মিলবে-

হজমের জন্য উপকারী

খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে মিষ্টি আলু। এর মধ্যে ডায়েটারি ফাইবারের পরিমাণ বেশি। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ফাইবার পেটের ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে হজমের সমস্যা কম হয়।

১. মিষ্টি আলুতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এটি পেট পরিষ্কার রাখে। আবার এতে থাকা ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছে কমে ও ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

২. এতে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে। আর্থ্রাইটিস ও জয়েন্টের ব্যথায় ঘন ঘন প্রদাহ হলে এখন থেকেই নিয়মিত খান মিষ্টি আলু।

৩. মিষ্টি আলুতে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ। যা চোখ ভাল রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে রাতকানা রোগের ঝুঁকি কমায়।এছাড়া বয়স হলে চোখে ছানি, ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের কারণে চোখের বেশ কিছু রোগ হতে পারে। সেই রোগগুলোর ঝুঁকি কমায় ভিটামিন এ।

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে মিষ্টি আলু। ভিটামিন এ ও সি সমৃদ্ধ হওয়ায় এই আলু বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। পাশাপাশি এই ভিটামিন দুটি শরীরে রোগ প্রতিরোধকারী কোষ তৈরিতে সাহায্য করে।

৫. শরীরে ফ্রি র্যাডিকাল তৈরি হলে প্রচুর পরিমাণে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়। এই স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে মিষ্টি আলুর মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্যানসার ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়।