নেত্রকোনায় অবৈধ হান্নান বিড়ি ও জনি বিড়ি জব্দ, ব্যবসায়ীকে জরিমানা

নেত্রকোনায় অবৈধ হান্নান বিড়ি ও জনি বিড়ি জব্দ, ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি: প্রতিনিধি

নেত্রকোনা জেলার বারহাট্রা বাজারে অভিযান চালিয়ে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া বিপুল পরিমান অবৈধ হান্নান বি‌ড়ি ও জনি বিড়ি জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে এক ব্যবসায়ীকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিভিন্ন ব্যান্ডের বিড়ি উৎপাদন, বিক্রি ও মজুদ করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট আফতাব আহমেদ জেলার বারহাট্রা বাজারে অভিযান ও তল্লাশি চালায়।

এসময় বারহাট্রা বাজারের ৫টি দোকানে অভিযান চালিয়ে এগারো হাজার (১১,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত অবৈধ কমদামী হান্নান বিড়ি এবং এক হাজার (১,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত অবৈধ কমদামী জনি বিড়ি জব্দ  করে ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানে সর্বমোট বারো হাজার (১২,০০০)  শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত অবৈধ বিড়ি জব্দ করা হয়।

অভিযানকালে বাজারের প্রতিটি ব্যবসায়ীর ম‌ধ্যে আতংক বিরাজ করে এবং নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত অবৈধ কমদামী বিড়ি ভবিষতে আর কোন ব্যবসায়ী বিক্রি করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। অভিযান শেষে জব্দকৃত অবৈধ বিড়ি বাজার কমিটির সভাপতি ও বাজারে উপস্থিত জনতার সম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

নকল বিড়ি বিক্রি করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫০ ধারা অনুযায়ী বারহাট্রা  বাজারের ব্যবসায়ী  মো: হৃদয় মিয়ার নিকট থেকে দুই হাজার টাকা নগদ জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

ভ্রাম্যমান আদালতের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট আফতাব আহমেদ জানান, অভিযান থেকে বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া অবৈধ বিড়ি জব্দ করা হয়েছে। এসব নকল বিড়ি কোম্পানিগুলো দৈনিক বিপুল টাকার রাজস্ব ফাকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে তাদের ব্যাবসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। সরকার পর্যায়ক্রমে নকল বিড়ির মালিক, ডিলার ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করছে। এছাড়া নকলের বিরুদ্ধে আমাদের কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।