ভুয়া চিকিৎসকের ২ বছরের কারাদণ্ড

ভুয়া চিকিৎসকের ২ বছরের কারাদণ্ড

ফাইল ছবি

ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় মেহেরপুরের গাংনীতে সুজন হোসেন নামের এক ভুয়া চিকিৎসকের দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (৮ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ডাক্তার না হয়েও ডাক্তার দাবি করে চিকিৎসা দেওয়ার অপরাধে তাকে এ দণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী বিচারক ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম।সুজন আলী উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাওট গ্রামের মনিরুল ইসলামের দুইদিন বয়সী নবজাতকের চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় মহাম্মদপুর গ্রামের হালিমা ফার্মেসিতে। সেখানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শরিফুল ইসলামের ব্যক্তিগত চেম্বার ছিল। শরিফুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে সেখানে সুজন আলী নামের এক ব্যক্তি নিজেকের ডাক্তার দাবি করে নবজাতকের চিকিৎসা দেয়। কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ওষুধ দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরে ওই ওষুধ সেবন করানোর পর নবজাতক আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বিকেলে মারা যায়।পরে ওই ফার্মেসিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে আরও জানা যায়, সুজন আলী চিকিৎসার দেওয়ার অনুমতির বিষয়ে কোনো বৈধতা প্রমাণ করতে পারেননি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে তিনি ভুয়া ডাক্তার হিসেবে প্রমাণ হয়। ফলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ এর ১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছর কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুল আল মারুফ ও গাংনী থানার সহায়তায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।