ইবিতে নিয়োগ নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে হট্টগোল-বাকবিতন্ডা, তদন্তে কমিটি

ইবিতে নিয়োগ নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে হট্টগোল-বাকবিতন্ডা, তদন্তে কমিটি

ইবিতে নিয়োগ নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে হট্টগোল-বাকবিতন্ডা, তদন্তে কমিটি

নিয়োগ বোর্ড নিয়ে গত মঙ্গলবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে হট্টগোল-বাকবিতন্ডার ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অফিস আদেশে বলা হয়, ‘উপাচার্যের অফিস কক্ষে সংঘটিত অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার পরম্পরা তদন্তপূর্বক একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রদানের জন্য এ কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. সজীব আলীকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

অন্য সদস্যরা হলেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম, কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পরিচালক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান ও খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী। কমিটিকে আগামী ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার দিন কার্যালয়ে বহিরাগত ও অছাত্রদের কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা লাঞ্ছিত হয়েছেন অভিযোগ করে জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম। সোমবার বেলা একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃতুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে তারা এ মানববন্ধন করেন। এর আগে রোববার এ ঘটনার বিচার দাবিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় শাপলা ফোরাম।

সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেনের নেতেৃত্বে সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়শ্রী সেন, সদস্য অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন ও অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীনসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সেদিন উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন কোনো নিয়োগ না দেওয়ার দাবিতে তার কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে কিছু অছাত্র ও বহিরাগত এসে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকিধমকি দেয়। আমরা এ ঘটনার বিচার দাবিতে রোববার ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। তবে প্রশাসন এ সময়ের মধ্যে কোনো সুরাহা না করায় আমরা মানববন্ধন করতে বাধ্য হয়েছি।’

প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ বোর্ড বন্ধের দাবি নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে যান কর্মকর্তারা। উপাচার্যের সঙ্গে তাদের উত্যপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরপরপরই সেখানে শাপলা ফোরামের সভাপতি ও সম্পাদকের নেতৃত্বে শিক্ষকদের একাংশ কার্যালয়ে আসেন। তারাও উপাচার্যের দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগ বোর্ড না করার দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষকদের উত্তেজনাপূর্ণ কথাবার্তা চলতে থাকলে একপর্যায়ে সেখানে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা প্রবেশ করে স্লোগান দিতে থাকেন। তারা নিয়োগ বোর্ড চালু রাখার দাবি করেন। এ নিয়ে শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হলে তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাকবিতন্ডা হয়। এসময় শিক্ষকরা উপাচার্যের উপর ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।