ফরিদপুরে অপহরণের দায়ে যুবকের ১৪ বছর কারাদণ্ড

ফরিদপুরে অপহরণের দায়ে যুবকের ১৪ বছর কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি।

ফরিদপুরে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) অপহরণ করার দায়ে লিটন ওরফে রমজান মিয়া (৩১) নামের এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাকে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। রায় প্রদানের সময় আসামি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি  উপজেলার সাংগুড়া এলাকার বাসিন্দা রমজান মিয়া আদালতে হাজির ছিলেন। রায় প্রদানের পর তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের শুরু থেকেই রমজান মধুখালির গাজনা ইউনিয়নের একটি গ্রামের দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে একই বছর ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে ওই কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এরপর ওই কিশোরীকে রমজান তার এক আত্মীয়র বাড়ি নিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু রমজানের সেই আত্মীয় ওই কিশোরীকে বাড়ি ফিরিয়ে দিতে বলে। পরে রমজান ওই দিনই কিশোরীটিকে মধুখালি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে রেখে চলে যায়।

পরে ওই কিশোরী বাড়িতে গিয়ে সব ঘটনা পরিবারের লোকজনকে খুলে বলার পর তার বাবা বাদী হয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর রমজানসহ তার সহযোগী সুজন সিকদার, জাকির মিয়া, মকিদুল মিয়া ও আসান মিয়াকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মধুখালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।