উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে বিএনপির ভেতরে যেসব আলোচনা

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে বিএনপির ভেতরে যেসব আলোচনা

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে বিএনপির ভেতরে যেসব আলোচনা

জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করলেও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা নিয়ে নানা আলোচনা আছে দলটির অভ্যন্তরে। বিএনপির দলীয় ফোরামে বিষয়টি নিয়ে নানা ধরনের মত উঠে আসার কথা জানা যাচ্ছে।

এর আগেও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বা ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। তা সত্ত্বেও দলটির তৃণমূলের অনেক নেতা সেসব নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, কেউ কেউ বিজয়ীও হয়েছেন।সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিএনপির কোনো কোনো নেতা দল থেকে বেরিয়ে অন্য দলের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

ফলে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে তৃণমূলের নেতাদের বিরত করা যাবে কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যেও।এমন প্রেক্ষাপটেই কয়েকদিন আগে দলটির শীর্ষ ফোরামে এই বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। যদিও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে এখনো পরিষ্কার কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়নি দলটির পক্ষ থেকে।

কিন্তু বিএনপির তৃণমূলের নেতাদের সাথে কথা বলে এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।তাদের কেউ কেউ যেমন সংসদ নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনও বর্জন করার পক্ষে, আবার অনেকে মনে করেন, স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাদের জনপ্রিয়তা তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বিবিসি বাংলাকে বলেন, এ নিয়ে শীর্ষ ফোরামে আলোচনা হয়েছিলো বলেই হয়তো এই আলোচনা উঠেছে। তবে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ার কথা জানান বিএনপির ঐ নেতা।তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এটা নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে পরে দলীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেবো”।

নির্বাচন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হলেও এই নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়া উচিত। কেননা, এর মাধ্যমে তারা তৃণমূলে জনপ্রিয়তা প্রমাণের একটা সুযোগ পাবে।স্থানীয় সরকার বিশ্লেষক ড. তোফায়েল আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, নির্বাচন থেকে দূরে থেকে কোনো রাজনৈতিক ফায়দা কেউ পাবে না। বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে দলীয় প্রতীকে ভোট না করার ইচ্ছা আওয়ামী লীগের এক ধরনের ফাঁদ হতে পারে। তবুও আমি মনে করি বিএনপি টেস্ট কেস হিসেবে এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারে”।

যে কারণে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা

গত সাতই জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বর্জন করে। ভোটে জিতে আবার সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। এরপর উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। চৌঠা মে থেকে উপজেলা নির্বাচন শুরু হবে।এরপর থেকেই তৃণমূলের বিএনপি নেতাদের মধ্যে ওই নির্বাচনে অংশ নেয়া- না নেয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ের এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে তৃণমূলের অনেক নেতারও আগ্রহ রয়েছে।

মাঠ পর্যায়ে বিএনপি নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের অনেকে এই নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী। তবে দলের অবস্থান পরিষ্কার হওয়ার আগে তারা প্রকাশ্যে এখনই বক্তব্য দিতে চান না।রাজবাড়ীর একজন বিএনপি নেতা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ''নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছা তো আছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমিই বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। কিন্তু দল কী সিদ্ধান্ত নেয়, আগে সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করছি।''

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির সরকার বিবিসি বাংলাকে বলেন, "দলের মধ্যে কেউ কেউ অতি উৎসাহী আছে। তারা মনে করে দলের কেউ নির্বাচিত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বসলে তারা সাময়িকভাবে ভালো থাকবে। তাই হয়তো তাদের কেউ কেউ আগ্রহ দেখায় নির্বাচনে"।তবে নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে বিএনপির অনেকের ভেতরে ভিন্ন মতও রয়েছে।বিএনপির তৃনমূলের কয়েকজন জেলা পর্যায়ের নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছে বিবিসি বাংলা। তাদের অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে।

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন বয়কটের পর উপজেলা নির্বাচনে যাওয়া হবে দলের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত”।এর আগে ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও, ২০১৯ সালে অংশ নেয়নি দলটি। তা সত্ত্বেও দলটির একাধিক নেতা সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের বেশ কয়েকজন বিজয়ীও হয়েছিলেন।

এমনকি গত বছরের বরিশাল, সিলেট ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও বিএনপির বেশ কয়েকজন কয়েকজন নেতা অংশ নিয়েছিলেন, যাদের অনেককে পরবর্তীতে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।এবার আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়েছে, উপজেলা নির্বাচনে কাউকে দলীয় প্রতীক দেয়া হবে না। যদিও এই ঘোষণাকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নির্বাচনে আনার কৌশল হিসাবে দেখছে দলটি। আবার বিএনপির অনেক নেতা একে একটি সুযোগ হিসেবেও দেখছেন।

কী বলছে বিএনপির তৃণমূল?

বর্তমান সরকারের চার মেয়াদে এই নিয়ে তৃতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের পর বিএনপি আর কোনো উপজেলার ভোটে অংশ নেয়নি।এবারের নির্বাচনে যখন আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্রভাবে ভোট করার ঘোষণা দিয়েছে, তখন থেকেই এক ধরনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারে বিএনপি।

তবে বিবিসি বাংলা এ নিয়ে তিনটি জেলার পর্যায়ের শীর্ষ তিন নেতার সাথে কথা বলেছে। যাদের সবাই ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান।ঝিনাইদহ জেলার সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, "যেখানে দলীয় সরকারের অধীনে আমরা জাতীয় নির্বাচন বয়কট করলাম, সেখানে উপজেলা নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্ন উঠবে কেন?"

তিনি বলছেন, “এই ভোটে অংশগ্রহণ মানে সরকারকে স্বীকৃতি দেয়া। এই নির্বাচন কমিশনকে স্বীকৃতি দেয়া। সুতরাং এই নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করার কোনো লজিকই নাই”।২০১৮ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতার তুলে ধরেন বিএনপির নেতারা। তারা বলছেন, ২০১৪ সালে নির্বাচনে না যাওয়ার পর বলা হচ্ছিলো বিএনপি ভোটে না গিয়ে ভুল করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি যখন ভোটে অংশ নিলো, তখন নির্বাচনে কী কী অনিয়ম হয় সেটা সারা বিশ্ব দেখেছে।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির সরকার বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্ত নেয় সেটিই বাস্তবায়ন হয়। ভোট শুধু শো অফ। এমন অবস্থায় ভোট করলে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি”।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা তো একটা সিদ্ধান্তে আছি ভোট না করার। সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে তো এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না”।

উপজেলার ভোটে না যাওয়ার পক্ষে যে সব যুক্তি

বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটে না যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপির তৃণমূলের নেতারা। এক্ষেত্রে অতীতে ভোটের অভিজ্ঞতা, জাতীয় নির্বাচন বয়কট করে স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও নতুন করে মামলা হামলার ভয়ের বিষয়গুলো সামনে আসছে।নড়াইল সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, “আমি সদর উপজেলার প্রার্থী ছিলাম। আমার প্রতিপক্ষ ২৯ কেন্দ্রের ভোট কেটে নিয়ে যায়। তারপরও ভাগ্যক্রমে জয় পেয়েছিলাম”।

এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, “এমন নির্বাচন করলে মান মর্যাদা যা অর্জন হয়, তার চেয়ে হেয় হতে হয় বেশি। এমন নির্বাচনে চেয়ারম্যান হওয়ার চেয়ে না হওয়াই ভালো”।তৃণমূলের নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, সরকার বিএনপিকে অংশগ্রহণ করানোর জন্য নিজেরা প্রতীক ছাড়া ভোট করছে। তাই বিএনপির কর্মীদের কেউ কেউ সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এটা সরকারের একটা ফাঁদ।বিএনপি নেতাকর্মীদের বোঝা উচিত সরকারের এই ফাঁদে তাদের পা দেয়া উচিত হবে না”।বিএনপির তৃণমূলের এসব নেতারা অভিযোগ করেন, বতর্মান সরকারের অধীনে শুধু জাতীয় নির্বাচন নয়, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। তাই তারা চান না নতুন করে আবারো নির্বাচনে অংশ নিতে।

ভোটে যাওয়ার পক্ষে আলোচনা যে কারণে

বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ জানাচ্ছেন দুটি কারণে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির মধ্যে আলোচনা তৈরি হয়েছে। তার প্রথম কারণ উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতীক ছাড়া অংশগ্রহণ। আর দ্বিতীয় কারণ হলো, দলের কেউ কেউ মনে করছেন জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপি নেতাকর্মীরা কিছুটা হতাশ। এ কারণে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করতে কেউ কেউ ভোটে যাওয়ার পক্ষে।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এখন পর্যন্ত আমরা উপজেলা নির্বাচনে থাকার পক্ষে। আমাদের অবস্থান আমরা হাই কমান্ডকে জানিয়েছি।দল বললে নির্বাচনে যাবেন উল্লেখ করে কারণ হিসেবে বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, “আমরা যদি উপজেলার ভোটে না থাকি তাহলে আমাদের প্রতি অত্যাচার নিপীড়ন আরো বাড়বে”।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সম্পাদক বিবিসি বাংলাকে বলেন, “উপজেলা নির্বাচন স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে না গেলে নেতাকর্মীদের কেউ কেউ নিজ আগ্রহ থেকে ভোটে অংশ নেবে। সেক্ষেত্রে ভোট থেকে দূরে থাকার চেয়ে ভোটে যাওয়াই ভালো”।তবে বিএনপি শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ মনে করেন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এসব আলোচনার পক্ষে বিপক্ষে যে সব মত আসছে তাতে দলের জন্য লাভ ক্ষতি দুই ধরনেরই হিসাব আছে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে এটা কোন কোন মহল থেকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা আপাতত এ বিষয়ে কোনো চিন্তা করছি না। যেহেতু আমরা বর্জন করেছি। এই নির্বাচন কমিশনকে আমরা গ্রহণযোগ্য মনে করি না”।তবে, স্থানীয় সরকার বিশ্লেষক ড. তোফায়েল আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “সরকার যদি বিএনপিকে ডিস্টার্ব না করে তাহলে এই নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির জন্যও ভালো, দেশের জন্যও ভালো”।

দল বললে কী করবে তৃণমূল?

গত কয়েকদিনে এ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিএনপির তৃণমূল থেকে হাইকমান্ডে। এমন অবস্থায় দল যদি ভোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেক্ষেত্রে কী করবে তৃণমূল? এ নিয়ে দুই ধরনের ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে।বিএনপির জেলা পর্যায়ের নেতারা বলছেন, প্রথমত দল বলতে পারে কেউ স্বতন্ত্রভাবে ভোট করলে দলের কোনো বাধা নেই। দ্বিতীয়ত, দলকে সংগঠিত করতে নির্বাচনের নির্দেশ দেওয়া। তখন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কী করবেন এমন প্রশ্ন করা হয়েছিলো জেলা পর্যায়ের নেতাদের।

এই প্রশ্নের উত্তরে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এমন অবস্থায় বিএনপির নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হবে ভুল ডিসিশন। আমাদের কাছে দল জানতে চাইলে আমি অন্তত সেই বিষয়টিই তুলে ধরবো”।কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির সরকার বলেন, "দল যদি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয় আমরা দলকে অনুরোধ করবো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত না নেয়ার জন্য"।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, "এ নিয়ে দলীয় ফোরামে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি।"

নেতাকর্মীরা যদি দাবি করে তখন কী করবেন? জবাবে মি. খান বলেন, "অনেক কিছু দাবির ওপর নির্ভর করে না"।স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর কথা, “বিএনপি এমন কোনো খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে নেই বা দল এমন কোনো অগোছালো অবস্থায় নেই যে উপজেলার ভোটে গিয়ে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে”।তবে তফসিল ঘোষণার পর ভোটের বিষয়ে কৌশল নির্ধারণের ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির এই দুই সদস্য।

সূত্র : বিবিসি