আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ২০

আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ২০

প্রতিকী ছবি

বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পান্না মোল্লা (৪০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে পুলিশের তিন এসআইসহ ৬ পুলিশ সদস্য রয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মোল্লারকুল গ্রামে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কাজী গ্রুপ ও খাকী গ্রুপের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে এ সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে বাগেরহাট থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সংঘর্ষে জড়িত থাকায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মোল্লারকুল গ্রামের তৈয়াব মোল্লার ছেলে নিহত পান্না মোল্লার লাশ উদ্ধার করে রাতে মোল্লাহাট থানায় নিয়ে এসেছে। গুলিবিদ্ধ পুলিশ সদস্যসহ আহত অন্যদের মোল্লাহাট উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উভয় গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আশরাফুল আলম জানান, উপজেলার মোল্লারকুল গ্রামে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কাজী গ্রুপ ও খাকী গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে রবিবার সন্ধ্যায় উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে কাজী গ্রুপের পান্না মোল্লা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে মোল্লাহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে এসআই মামুন, এসআই মাজহার, এসআই বিধান, পুলিশ সদস্য গোপাল, সঞ্জয় ও হাফিজ গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় গুলি, ইট-পাটকেল ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উভয়পক্ষের আরও ১৪ জন আহত হয়। পুলিশসহ আহতদের উদ্ধার করে মোল্লাহাট উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে সংঘর্ষে জড়িত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে মোল্লাহাট থানায় আনা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের নাম জানাতে পারেনি। উভয় গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।