ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে সমন জারি

ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে সমন জারি

ফাইল ছবি

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগের মামলায় সমন জারি করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানা আমলী আদালতের বিচারক মো. আলমগীর হোসেন এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদী আব্দুল রাজ্জাক রাজ বলেন, বিচারক আমার সামনেই তাদেরকে স্ব-শরীরে আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। তবে তাদের কবে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে সেটা আগামী রোববারে জানা যাবে।

রাজ সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি গত ২৫ আগস্ট ২০২১ সালে বাদী হয়ে প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মো. রাজ ইভ্যালি থেকে ২০২১ সালের ৪ মে টেলিভিশন, পেনড্রাইভ, ইস্ত্রিসহ পাঁচটি পণ্যের ক্রয়াদেশ দেন। ইভ্যালির নীতিমালা অনুযায়ী ক্রয়াদেশের ৭ থেকে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করার কথা। সে অনুযায়ী সময়সীমা অতিক্রম করলেও পণ্য ডেলিভারি দেওয়া হয়নি। পরে তিনি বাদী হয়ে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিরাজগঞ্জের ওপর দায়িত্ব দেন। আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিরাজগঞ্জ ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে বাদীর আনীত অভিযোগ পেনাল কোডের ৪০৬/৪২০ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

কামারখন্দ থানা আমলী আদালতের বিচারক মো. আলমগীর হোসেন তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে স্ব-শরীরে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।

বাদী পক্ষের মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী মঞ্জরুল ইসলাম সোহাগ জানান, বাদীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত অপরাধের বিষয়ে তদন্তের জন্য পিবিআই, সিরাজগঞ্জকে আদেশ দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার ও বাদীর প্রাথমিক সাক্ষ্য প্রমাণ বিবেচনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দন্ড বিধি আইনের ৪০৬/৪২০/৩৪ ধারার সত্যতা পেয়েছেন। বাদী তদন্ত প্রতিবেদনের প্রতি সন্তুষ্ট। মাননীয় আদালত অপরাধ আমলে নিয়ে আসামিদের স্বশরীরে আদালতে হাজির হতে আদেশ দিয়েছেন।