অবশেষে নাভালনির মরদেহ হস্তান্তর করল পুতিনের সরকার

অবশেষে নাভালনির মরদেহ হস্তান্তর করল পুতিনের সরকার

ফাইল ছবি

কারাগারে মারা যাওয়া রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির মরদেহ অবশেষে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার বিরোধীদলীয় এই নেতার মরদেহ হস্তান্তর করে রুশ কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাভালনির মুখপাত্র।

যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশ বলেছেন, অ্যালেক্সির মরদেহ তার মায়ের কাছে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সাথে যারা মরদেহ হস্তান্তরের দাবি তুলেছিলেন তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ।

এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক নাভালনি আর্কটিক সার্কেল পেনাল কলোনির একটি কারাগারে মারা যান বলে জানায় রুশ কর্তৃপক্ষ। ওই সময় বলা হয়, কারাগারে হেঁটে আসার পর হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েছিলেন নাভালনি। তারপর আর তার চেতনা ফেরেনি। তবে নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া পুতিনের নির্দেশেই তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন।

এদিকে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার বিরোধী দলের প্রয়াত নেতা আলেক্সি নাভালনিকে গোপনে সমাহিত করতে রাজি হওয়ার জন্য তার মাকে বাধ্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাভালনির মুখপাত্র।

নাভালনির মাকে বলা হয়েছে, তিনি রাজি না হলে নাভালনিকে আর্কটিক সার্কেল পেনালে সমাহিত করা হবে। যেখানে তিনি মারা গিয়েছিলেন। নাভালনির মা বলেছেন, তাকে নাভালনির মৃত্যু সনদে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছে। যেখানে লেখা ছিল প্রাকৃতিক কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশেই তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। ক্রেমলিন এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। বরং এই মৃত্যুতে পশ্চিমা প্রতিক্রিয়াকে ‘উম্মাদনামূলক’ বলে আভিহিত করেছে।

কারাগারে নাভালনির মৃত্যুর খবর জানানোর বিনিময়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ২০ হাজার ইউরো পুরস্কার ও রাশিয়া ত্যাগের জন্য সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে নাভালনির দল।

নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশ জানিয়েছেন, বিরোধীদলীয় নেতার মা লুদমিলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, তার ছেলেকে কোথায় ও কীভাবে কবর দেওয়া হবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তাদের নেই। তিনি আইন মেনে চলার দাবি করেছেন। তা অনুসারে মৃত্যুর কারণ দর্শানোর দুই দিনের মাথায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে বাধ্য তদন্তকারীরা।