এভিয়েশন শিল্পকে স্মার্ট, দক্ষ এবং সেবামূলক শিল্প হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে : বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

এভিয়েশন শিল্পকে স্মার্ট, দক্ষ এবং সেবামূলক শিল্প হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে : বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

এভিয়েশন শিল্পকে স্মার্ট, দক্ষ এবং সেবামূলক শিল্প হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে : বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পকে স্মার্ট, দক্ষ এবং সেবামূলক শিল্প হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে।

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী )রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠককালে মন্ত্রী একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পকে স্মার্ট শিল্প হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দেশের সকল বিমানবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি দক্ষ জনবল তৈরির উপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, উড়োজাহাজের নিরাপদ উড্ডয়ন ও অবতরণ নিশ্চিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আইএলএস সিস্টেম ক্যাটেগরি-১ থেকে ক্যাটেগরি-২ তে উন্নীত করা হচ্ছে। সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে আইএলএস সিস্টেম স্থাপন করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দ্বিতীয় রানওয়ে নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হয়েছে, খুব দ্রুতই এই বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা আগের থেকে উন্নত হয়েছে। এই সেবাকে আরও উন্নত করে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। গত এক বছরে বিমান বাংলাদেশ এক হাজার কোটি টাকার গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি ক্রয় করেছে। জনবলের ঘাটতি পূরণের জন্য নিয়মিত নিয়োগ কার্যক্রম চালু রাখার পাশাপাশি তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।  তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে এখন যেটুকু সমস্যা রয়েছে থার্ড টার্মিনাল চালু হওয়ার পর তা আর থাকবে না।

ফারুক খান বলেন, বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর মুনাফা রেমিট করার ব্যাপারে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কাজ করছি। ইতোমধ্যেই রেমিটেন্সের কিছু অংশ ছাড় করা হয়েছে। এর পরিমাণ যেন আরো বাড়ানো হয় সেই ব্যাপারে আমরা কাজ অব্যাহত রেখেছি। এছাড়াও এভিয়েশন শিল্পের বিভিন্ন বিষয়ে করের হার নিয়ে এবং এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যাতে দ্রুত ও সহজে কাস্টমস থেকে ছাড় পায় সেই বিষয়ে আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে কথা বলবো।

মন্ত্রী বলেন, সকল এয়ারলাইন্সই বাণিজ্যিক মুনাফা অর্জনের জন্য কাজ করে কিন্তু একই সাথে তাদের যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে হবে। কোন যাত্রী যাতে অহেতুক হয়রানির শিকার না হয় সেই ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে হবে। আমার বিশ্বাস, আমরা সকলে একত্রে কাজ করলে বাংলাদেশ থেকে সকল এয়ারলাইন্সই আরো সহজে, নিরাপদে এবং দক্ষভাবে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে। যাত্রীদের আরো উন্নত সেবা প্রদানে সক্ষম হবে। বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাব রূপান্তরের যে লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি তা পূরণ করা সহজ হবে।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ মফিদুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আশরাফ আলী ফারুক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম সহ বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত হওয়া দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিবৃন্দ।