প্রতিদিন চিয়া সিড খেলে কী হয়?

প্রতিদিন চিয়া সিড খেলে কী হয়?

ছবিঃ সংগৃহীত।

শরীরে পানির চাহিদা পূরণ থেকে ইলেকট্রলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে চিয়া বীজের গুরুত্ব অনেক। সহজপাচ্য ফাইবার, প্রোটিন থেকে হার্ট ভালো রাখার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে এই বীজে। পাশাপাশি বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে চিয়া সিড।

তাই স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যে এই চিয়া বীজের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এটি পানিতে ভিজিয়ে, পুডিং কিংবা সালাদে ছড়িয়েও খাওয়া যায়। আমেরিকার কৃষিবিভাগের দেওয়া তথ্য বলছে, এক আউন্স অর্থাৎ ২ টেবিল চামচ চিয়া বীজ থেকে পাওয়া যায় ১৩৮ ক্যালোরি।

এতে প্রোটিন আছে প্রায় ৫ গ্রাম। মোট ফ্যাটের পরিমাণও তাই। কার্বোহাইড্রেট ১২ গ্রাম। ফাইবার ১০ গ্রাম, ক্যালশিয়াম ১৭৯ মিলিগ্রাম, আয়রন ২ মিলিগ্রাম ও জিঙ্কের পরিমাণ ১.৩ মিলিগ্রাম। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, এত গুণ থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খেলে কিন্তু উপকারের বদলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে কী হয়?

হজমের সমস্যা হতে পারে

বেশি চিয়া বীজ খেলে হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। চিয়া বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ফাইবার উপকারী।আবার বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ফাইবার হজমপ্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে নির্দিষ্ট পরিমাণ চিয়া বীজ খাওয়া যেতে পারে। তবে বেশি নয়।

রক্ত পাতলা করে দেয়

চিয়া বীজে ওমেগা ৩ আছে ভরপুর। এই উপাদান রক্ত পাতলা করে। শরীরের পক্ষে তা ভালো হলেও যারা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে কিন্তু সমস্যা হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই চিয়া সিড খেতে হবে।

শর্করার মাত্রা একেবারে কমিয়ে দেয়

চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। তাতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। তবে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।

আবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও চিয়া সিড বেশ ক্ষতিকর। ইনসুলিন নিলে এই বীজ থেকে দূরে থাকাই ভালো।