বসুন্ধরা আদ্-দ্বীন নার্সিং ইনস্টিটিউটে বনার্ঢ্য পিঠা উৎসব

বসুন্ধরা আদ্-দ্বীন নার্সিং ইনস্টিটিউটে বনার্ঢ্য পিঠা উৎসব

ছবি: প্রতিনিধি

পিঠা বাঙালির প্রিয় খাবার। আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি পিঠা উৎসব। বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিছুদিন আগেও শহুরে সংস্কৃতিতে বার্গার, পিত্জার জোয়ারে হারিয়েই যেতে বসেছিল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী রকমারি পিঠা। বাঙালির এই সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে রাজধানীর পোস্তগলায় অবস্থিত বসুন্ধরা আদ্-দ্বীন নার্সিং ইনস্টিটিউটে বনার্ঢ্য পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আদ্-দ্বীন ব্যারিস্টার রফিক উল হক হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বসুন্ধরা আদ্-দ্বীন নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন।

অনুষ্ঠানে হরেক রকমের পিঠার পসরা নিয়ে বিভিন্ন স্টল সাজান বসুন্ধরা আদ্-দ্বীন নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। স্টলগুলোতে চিতাই পিঠা, ভাপা পিঠা, জামাই পিঠা, নকশি পিঠা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, দুধ চিতইসহ নাম না জানা অসংখ্য পিঠাপুলির আয়োজন ছিল।

সকাল ১০ টায় আদ্-দ্বীন ব্যারিস্টার রফিক উল হক হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে পিঠা উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক  ডা. মোহাম্মদ আলী এবং বসুন্ধরা আদ্-দ্বীন নার্সিং ইনস্টিটিউটের কো-অডিনেটর আফরোজা খাতুন শিমুল।

পিঠা উৎসবে বিভিন্ন ধরনের গ্রামীন পিঠা-পুলির স্থান পায় স্টলগুলোতে। অতিথিরা প্রতিটি স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং পিঠার স্বাদ উপভোগ করেন।

অনুষ্ঠানে আসা শিক্ষার্থীরা উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন, ‘পিঠা শুধু খাবার নয়, এর সাথে জড়িয়ে আছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতি। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে বাঙালী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ুক সবার প্রাণে।’

পিঠা উৎসবে অতিথিরা বলেন, শীত এলেই গ্রামে পিঠা-পুলির ধুম লেগে যেত। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে তা খুব একটা দেখা মেলেনা। পিঠা উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা-পুলি সম্পর্কে জানতে পারে। একইসাথে তাদের মধ্যে পারস্পরিক মেলবন্ধন আরো সুদৃঢ় হয়।

পিঠা উৎসবে বসুন্ধরা আদ্-দ্বীন নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং আদ্-দ্বীন ব্যারিস্টার রফিক উল হক হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।