গলার ক্যান্সার: যেসব লক্ষণে সতর্ক হবেন

গলার ক্যান্সার: যেসব লক্ষণে সতর্ক হবেন

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। তেমনি গলার ক্যান্সার অন্যতম একটি মারাত্মকব্যধী। এর লক্ষণ বিভিন্ন হতে পারে। গলার ক্যান্সার সাধারণত গলবিল বা স্বরযন্ত্রে (ভয়েস বক্স) হয়ে থাকে। তবে খাদ্যনালী বা থাইরয়েড থেকেও এ ক্যান্সার হতে পারে। ধূমপান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন, হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস(এইচপিভি) ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে। 

গলার পেশি নল যা নাকের পিছনে শুরু হয় এবং ঘাড়ে শেষ হয়। গলার ক্যান্সার প্রায়শই শুরু হয় সমতল কোষে যা আপনার গলার অভ্যন্তরে থাকে। কিছু ক্যান্সার যা গলার অংশে শুরু হয়, সেইসাথে জিহ্বা, লালা গ্রন্থি, সাইনাস, নাক বা কান যা মাথা এবং ঘাড়ের ক্যান্সার হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। গলার দুটি প্রধান ক্যান্সার রয়েছে তা হল ফ্যারিঞ্জিয়াল এবং ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার - গলার ক্যান্সার এবং স্বরযন্ত্রের ক্যান্সার।

গলা ক্যান্সারের লক্ষণ ও উপসর্গ
গলা ব্যথা: গলা ব্যথা গলার ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ।
রক্ত কাশি: গলা থেকে রক্তমিশ্রণের সঙ্গে কাশি আসা।
কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন:  যেমন কর্কশ হওয়া বা কণ্ঠের স্বর পরিবর্তন বা স্পষ্টভাবে কথা না বলা।
নিঃশ্বাসের দুর্বলতা: শ্বাসের দুর্বলতা অনুভব করা।
ক্রমাগত গলা ব্যথা বা কাশি: যেমন ক্রমাগতভাবে গলা বা কাশির সমস্যা বাড়তে থাকা।
গিলতে অসুবিধা: মনে হচ্ছে গলায় কিছু আটকে আছে বা গিলায় অসুবিধা অনুভব করা।
কানের ব্যথা: যেমন গলা বা কানে ব্যথা অনুভব করা।
ঘাড়ে বা গলায় পিণ্ড: যেমন গলা বা ঘাড়ে পিণ্ড অনুভব করা।
হঠাৎ ওজন হ্রাস: অনেক সময় হঠাৎ করে অনেকটা ওজন কমে যায় যা গলার ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

বয়স ধরে রাখতে পাতে রাখবেন যেসব খাবার বয়স ধরে রাখতে পাতে রাখবেন যেসব খাবার 
 
যদিও এই লক্ষণগুলি গলার ক্যান্সারের জন্য নির্দিষ্ট নয়। তবে এই ধরণের লক্ষণগুলির উপস্থিতি কার্যকর অধ্যয়নের জন্য একটি আদর্শ কারণ হিসেবে বিবেচিত। সময়ের সাথে এই লক্ষণগুলি বাড়তে পারে এবং অনেক সময় ক্যান্সারের কারণও হতে পারে। তাই যদি কেউ এই ধরনের লক্ষণগুলি অনুভব করে তারা দ্রুত চিকিৎসা পেতে অথবা চিকিৎসার পরামর্শের জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।