রাফাহ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১১

রাফাহ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১১

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের রাফাহ শহরে তাঁবু-নির্মিত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো অর্ধশত মানুষ।

গাজা উপত্যকায় অন্যত্র হামলায় ১৭ জন নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে এই হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

মূলত ইসরায়েলি হামলার কারণে রাফাহ শহরে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি অবস্থান করছেন এবং অনেকে কোনও আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা না পেয়ে তাঁবু-নির্মিত অস্থায়ী এসব আশ্রয় শিবিরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাফাহ শহরের তাল আস-সুলতানের আল-হেলাল আল-ইমিরাতি মাতৃত্ব হাসপাতালের প্রবেশপথের পাশে অবস্থিত তাঁবুতে শনিবারের ড্রোন হামলায় আরও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, হাসপাতালের প্যারামেডিক ইউনিটের প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আবু মারহি শনিবারের এই হামলায় নিহত হয়েছেন এবং আহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।

রাফাহ থেকে আল জাজিরার হানি মাহমুদ বলেছেন, একটি পুরো পরিবারসহ বাস্তুচ্যুত মানুষে পরিপূর্ণ একটি তাঁবু সরাসরি ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে।

তিনি বলেন, আটটি মৃতদেহ কুয়েত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই হাসপাতালের অবস্থা খুবই বিশৃঙ্খল, কারণ ছোট অবকাঠামো হওয়ায় সেটি প্রচুর সংখ্যক আহতকে স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা দেওয়ার জন্য অপ্রস্তুত।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘সরাসরি একটি তাঁবুতে হামলা চালানো হয়েছে যেখানে লোকেরা আশ্রয় নিয়েছিল। আমি এবং বন্ধুরা অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছি।’

আল জাজিরা বলছে, হামলা থেকে বাঁচতে গত বছরের ডিসেম্বরে বাস্তুচ্যুত লোকদের তাল আস-সুলতান এলাকায় চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আল জাজিরা সংবাদদাতা বলেন, ‘রাফাহকে যে নিরাপদ অঞ্চল বলে বর্ণনা করা হচ্ছে তা আবারও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে’।

মাহমুদ বলেন, ‘যদিও এবারই প্রথমবার যে তাল আস-সুলতান এলাকাকে লক্ষ্যবস্তু করা হলো, বিষয়টি আসলে তা নয়। কিন্তু সম্ভবত এটি সবচেয়ে খারাপ হামলা। রাফাহতে মানুষের নিরাপত্তা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে।’