বুড়িমারী স্থলবন্দরে ফের অস্ত্রের মহড়া, শ্রমিক নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩

বুড়িমারী স্থলবন্দরে ফের অস্ত্রের মহড়া, শ্রমিক নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩

প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরে ফের শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বুধবার বিকালে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শ্রমিক লীগ শাখার সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পাটগ্রাম থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের বিশেষ নিরাপত্তায় জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে বুধবার বিকালে বুড়িমারী স্থলবন্দরের শ্রমিকদের কাজের তালিকা (সিরিয়াল) দেয়ার কার্যালয় থেকে আটক করা হয় তাদের।

পুলিশ জানায়, সাজ্জাদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের একাংশের নের্তৃত্ব দিচ্ছেন। এ নিয়ে সরদার গ্রুপের সাথে সাজ্জাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। কিছুদিন আগে সাজ্জাদ তার লোকজন ও বিভিন্ন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সরদার গ্রুপের দখলে থাকা স্থলবন্দরের শ্রমিকদের কাজের তালিকা (সিরিয়াল) দেয়ার কার্যালয়ের সামনের মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়।

এ ঘটনায় বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে লালমনিরহাট আদালতে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হয়। আদালত মামলা রজু করতে পাটগ্রাম থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়। গত ৪ মার্চ পাটগ্রাম থানায় এ মামলা রুজু করা হয়। বুধবার সাজ্জাদ তার ৩০ থেকে ৩৫ লোকজন ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে স্থলবন্দরের শ্রমিকদের কাজের তালিকা (সিরিয়াল) দেয়ার কার্যালয় দখল করে। এসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে শ্রমিক লীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন, তার বড় ভাই আবু হানিফ ও আরিফুল ইসলাম চমন নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বেশকিছু লোহার তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

পাটগ্রাম থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার সাজ্জাদসহ তিনজনকে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশি পাহারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলার প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।