সেই মার্কিন সেনার নামে ফিলিস্তিনে সড়ক

সেই মার্কিন সেনার নামে ফিলিস্তিনে সড়ক

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনির সঙ্গে রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই। থাকেন হাজার হাজার মাইল দূরের দেশে। তবুও গাজায় যে ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ চলছে তার প্রতিবাদে চুপ করে বসে থাকতে পারেননি। নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর সদস্য অ্যারন বুশনেল। তার এমন আত্মত্যাগের প্রতিদান দিতে অবশ্য দেরি করেনি ফিলিস্তিনিরাও। তাদের হৃদয়ে দাগ কেটে যাওয়া এ ঘটনার পর সেই অ্যারনের নামে ফিলিস্তিনের একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরে রোববার সড়কের নতুন নামফলক উন্মোচন করেন জেরিকোর মেয়র আবদুল করিম সিদর। এ সময় মেয়র বলেন, এই যুবককে ফিলিস্তিনিবাসীরাও চিনতেন না, এমনকি সেই যুবকও তাদের চিনতেন না। তবুও তাদের অধিকার রক্ষায় প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছেন।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনীর পোশাকে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের বাইরে অ্যারন বুশনেল হাজির হন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ করছিলেন পুরো ঘটনা। সেখানেই ঘোষণা দেন, ‘গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে চান না’। এরপর নিজের শরীরে আগুন দেন। শরীরে আগুন জ্বলা অবস্থায়ও আঁকুতি জানিয়ে বলছিলেন, ‘ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই।’

এরপর দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এই ঘটনার পর মুসলিম বিশ্বে তাকে নিয়ে বেশ আলোচনা হয়, কেন একজন মার্কিন সেনা হয়ে নিরীহ গাজাবাসীর জন্য এমন পথ বেছে নিলেন সেই প্রশ্নও তোলেন অনেকে।

এর আগেও ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত ডিসেম্বরেও যুক্তরাষ্ট্রে একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। তখন ফিলিস্তিনি সমর্থক এক ব্যক্তি জর্জিয়া রাজ্যের ইসরায়েলি কনস্যুলেটের সামনে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তখন তাকেও গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিবাদের উগ্রবাদী পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছিল পুলিশ।

গেল ৭ অক্টোবর গোটা বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে বসে ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর পর থেকে গাজায় রক্তক্ষয়ী হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। নির্বিচারে হত্যা করছে সবাইকে। চালানো হচ্ছে একের পর এক রকেট আর বিমান হামলা। বাস্তচ্যুতি হয়েছে লাখ লাখ বাসিন্দা।