ইউরোপা লিগের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন সেভিয়া

ইউরোপা লিগের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন সেভিয়া

শিরোপা নিশ্চিত করার পর সোভিয়া খেলোয়াড়দের উল্লাস।

ইউরোপা লিগে স্প্যানিশ দল সেভিয়ার ফাইনালে ওঠা মানেই যেন শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলা তাদের। গত দেড় দশকে পাঁচবার লিগের ফাইনালে ওঠে প্রতিবারই জিতেছে।

এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। শুক্রবার রাতে ইন্টার মিলানকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ফের চ্যাম্পিয়ন সেভিয়া।

তবে এবার ইসিহাস ভিন্নভাবে লেখা হবে ভেবে রেখেছিল ফুটবলবিশ্ব। কিন্তু সমতায় থাকা ম্যাচের শেষ দিকে এক আত্মঘাতী গোলে নিজেদের কফিনে নিজেরাই প্যারেক ঠুকল ইন্টার।

রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে হুলেন লোপেতেগির দল।

কোলনে রোমাঞ্চকর ফাইনালের ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে লিড নেয় ইন্টার মিলান। পেনাল্টি থেকে সফল স্পটকিকে গোল করেন লুকাকু।

ওই ঘটনার ৭ মিনিট পরই অর্থাৎ ১২তম মিনিটে সমতায় ফেরান ডাচ ফরোয়ার্ড লুক ডি ইয়ং।

ডান দিক থেকে ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক উইঙ্গার ও সেভিয়ার অধিনায়ক হেসুস নাভাসের মাপা ক্রসে দারুণ হেডে গোল করেন ডাচ স্ট্রাইকার লুক ডি ইয়ং।

৩৩ মিনিটে আর্জেন্টাইন তারকা এভার বানেগার বানিয়ে দেয়া বলে হেডে গোল করে সেভিয়াকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ইয়ং।

সেভিয়া-সমর্থকদের উচ্ছ্বাস অবশ্য ২ মিনিট স্থায়ী হয়।

৩৫ মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরান ইন্টারের ডিয়েগো গডিন। অর্থাৎ ম্যাচের ৩৫ মিনিটেই স্কোর বোর্ডে ২-২ গোল লেখা হয়ে যায়।

এমন উত্তেজনাময় পরিস্থিতি নিয়ে প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি।

বিরতির পর মাঠে নেমে সমানে সমানে লড়াই চালিয়ে যায় দুদল। অনেকটা সাবধানী খেলা শুরু করেন তারা। ৭৩ মিনিট পর্যন্ত কোনো দলই লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি।

কিন্তু ৭৪ মিনিটেই ঘটল ইন্টারের ভাগ্যে সেই দুর্ঘটনা। হাই বল থেকে কার্লোসের ওভারহেড কিকে পা ধরে দিয়েছিলেন লুকাকু। তাতে বল জড়িয়ে যায় নিজেদেরই জালে।

নায়ক মুহূর্তেই পরিণত হন ভিলেনে।

৩-২ এ হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয় ইন্টার মিলানের।

এই জয়ে সেভিয়া জানিয়ে দিল, রেকর্ড ১৩ বার শিরোপা জেতা রিয়াল মাদ্রিদকে যেমন চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা ধরা হয়, তেমনটি ইউরোপায় সেভিয়া সেরা। তারাই ইউরোপা লিগের ‘রিয়াল মাদ্রিদ।’