নিজ ঘরে খাটের ওপর পড়ে ছিল নারীর গলাকাটা মরদেহ

নিজ ঘরে খাটের ওপর পড়ে ছিল নারীর গলাকাটা মরদেহ

প্রতীকী ছবি

কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে এক নারীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১০টার দিকে দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া চেয়ারম্যান ঘাটায় নিজ গৃহে এ ঘটনা। তবে স্থানীয় ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা গেছে, তারাবি নমাজের সময়েই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে পাওয়া তথ্যমতে, নিহতের স্বামী মৌলানা আবু নাছের স্থানীয় একটি মসজিদের তারাবি পড়ান। তাদের দুই ছেলে চট্টগ্রামে পড়াশোনা করেন। প্রতিদিনের মতো তারাবি শেষ করে বাসায় আসলে স্ত্রীকে মুখ বাঁধা অবস্থায় গলা কাটা বিছানায় পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পান তিনি। 

প্রতিবেশীরা জানান, লাশের পাশে আলমারি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাকে হত্যার পর স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করেছে বলে ধারণা তাদের। রিনা আক্তারকে শ্বাসরুদ্ধ করে গলা কেটে হত্যা করেছে বলেও জানায় অনেকে। লাশের পাশে একটি রক্তাক্ত দা দেখতে পান বলেও জানান তারা। পরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে রিনা আক্তারের স্বামীসহ সন্দেহজনক তিনজনকে আটক করা হয়েছে। 

পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পথে নিহতের স্বামী আবু নাছের বলেন, আমি কিছুই জানি না, নামাজ পড়ে বাসায় এসে স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ দেখতে পাই। আলমারিও খোলা কিছুই বুঝতে পারছি না।’ 

জানা গেছে, আবু নাছের নিজের স্ত্রীকে নিয়ে নিজের তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলাতে থাকতেন। পাশের বাড়ির আটককৃত আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমি এখানকার স্থানীয় তবে ভাড়া থাকি। আমার বউ জুহুরা আক্তার ক্যাম্পে থাকতো তাকে এনে বিয়ে করেছি তাতে কি হয়েছে বলে উল্টো প্রশ্ন করেন।’ স্ত্রী জুহুরা আক্তার রুবি বলেন, ‘আমি সাত বছর বয়স থেকে বাংলাদেশে আছি। ক্যাম্পে ছিলাম বিয়ের পর শহরে থাকি তবে এই ফ্লাটে এক মাসের মত হবে উঠেছি।’

কক্সবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা এসেছি গলাকাটা অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করি। তার হাতে মেডিসিনের দাগ দেখতে পাই যেটি হয়তো তিনি ইউজ করতেন। আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি সিআইডিসহ, পরে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।’ তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বলে জানা গেছে।