হংকংয়ের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

হংকংয়ের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

ফাইল ছবি।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে হংকংয়ের ওপর নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনা শহরটিতে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকরের কয়েকদিন পরেই নতুন এই পদক্ষেপের কথা জানালো বাইডেন প্রশাসন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, বিগত এক বছরে হংকংয়ের প্রতিশ্রুত উচ্চমাত্রার স্বায়ত্তশাসন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং অধিকার ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রেখেছে বেইজিং।এই দমনপীড়নের মধ্যে আর্টিকেল ২৩র নতুন অনুচ্ছেদও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আর্টিকেল ২৩ হলো হংকং মৌলিক আইনের একটি নিবন্ধ। এতে বলা হয়েছে, চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, রাষ্ট্রদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতা বা রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা চুরি, বিদেশি রাজনৈতিক সংগঠন বা সংস্থাগুলোকে এ অঞ্চলে রাজনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনা থেকে নিষিদ্ধ করা এবং এ অঞ্চলের রাজনৈতিক সংগঠন বা সংস্থাগুলোকে বিদেশি রাজনৈতিক সংগঠন বা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন থেকে নিষিদ্ধ করার জন্য হংকং নিজেই আইন প্রণয়ন করবে।গত ২৩ মার্চ থেকে শহরটিতে কার্যকর হয়েছে এই আইন।

ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, ‘তীব্র নিপীড়ন’ এবং ‘সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং ভিন্নমতের’ ওপর বিধিনিষেধের প্রতিক্রিয়া হিসেবে হংকংয়ের একাধিক কর্মকর্তার ওপর নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।তবে ঠিক কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বা কাদের বিরুদ্ধে এটি প্রয়োগ করা হচ্ছে, তা জানাননি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের বার্ষিক পর্যালোচনার পর এই পদক্ষেপের ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র। মানবাধিবার লঙ্ঘনের অভিযোগে এর আগেও শহরটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ওয়াশিংটন।২০১৯ সালে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনপীড়নের অভিযোগে ২০২০ সালে হংকংয়ের বিশেষ বাণিজ্য মর্যাদাও প্রত্যাহার করেছিল মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, হংকংয়ে ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপকে চীনের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বেইজিং।চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিশনার কার্যালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের বার্ষিক পর্যালোচনা ছিল ‘একটি প্রহসন, যা কেউ মানছে না... এটিকে ইতিহাসের আবর্জনার স্তূপে পাঠানো উচিত’।