স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

ফাইল ছবি

বিশ্ববাজারে একের পর এক রেকর্ড সৃষ্টি করছে স্বর্ণ। সবশেষ মাসের প্রথম দিন সোমবার (১ এপ্রিল) অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ২৫০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মার্চ মাসজুড়েই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল দুই হাজার ১৮০ দশমিক ৯২ ডলার। সপ্তাহ শেষে দাম বেড়ে দাঁড়ায় দুই হাজার ২৩২ দশমিক ৩৮ ডলার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫১ দশমিক ৪৬ ডলার। অন্যদিকে মার্চ মাসের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল দুই হাজার ৪৩ দশমিক ৬৩ ডলার। মার্চে প্রতি স্বর্ণের দাম ২০০ ডলারের বেশি বেড়েছে।

এদিকে সোমবার বিশ্ববাজারে রেকর্ড দামে উঠা স্বর্ণের লেনদেন শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে ২ হাজার ২৫০ ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৫৯ দশমিক ২৪ ডলারে।

শুধু বিশ্ববাজারে নয় বাংলাদেশের বাজারেও রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ। দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সবশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ, যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে। সেদিন ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ আট হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে। দেশের বাজারে স্বর্ণের এত দাম আগে কখনো হয়নি। দেশের বাজারে যখন স্বর্ণের এই দাম নির্ধারণ করা হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল দুই হাজার ১৫৫ ডলারের কাছাকাছি। এখন সেটি আরও ১০০ ডলারের মতো বেড়ে গেছে। তাই দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হতে পারে। দেশে স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণ করে থাকে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)।

এ বিষয়ে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের যে রেকর্ডটা আমরা দেখেছি, তাতে চলতি বছরে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৩০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। আমরা বিশ্ববাজার এবং স্থানীয় বাজারের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিই। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে। আমাদেরও তালমিলিয়ে চলতে হবে। আমরা বেশি দামে কিনলে, বেশি দামে বিক্রি করব। এর কোনো বিকল্প নেই।