ঈদ বোনাসের আগের দিন বন্ধ কারখানা

ঈদ বোনাসের আগের দিন বন্ধ কারখানা

সংগৃহীত ছবি

ঢাকার ধামরাইয়ে শ্রমিকদের ঈদ বোনাস প্রদানের নির্ধারিত তারিখের একদিন আগে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের কাউন্সিল বাজার সংলগ্ন ওডিসি ক্রাফট প্রাইভেট লিমিটেডে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে, কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে সকাল থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে শ্রমিকরা। পরবর্তীতে শ্রমিকদের বুঝিয়ে কারখানার সামনে থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।

এ বিষয়ে শ্রমিকরা জানান, গতকালও ঠিকঠাক কাজ করেছি। গতকাল অফিস স্টাফদের বেতন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্টাফদের বেতন দেয়া হয় নাই। পরে স্টাফরা বেতনের দাবিতে অফিসের ভিতরে শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হয়। পরে শ্রমিকরা যার যার মতো বাড়ি চলে যায়। আজ সকালে কাজের জন্য কারখানায় গেলে শ্রমিকদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। শ্রমিকদের জানানো হয় আজ কারখানা বন্ধ, আগামীকাল থেকে আবার কারখানা খোলা থাকবে। আগামীকাল শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দেয়ার কথা রয়েছে।

কিন্তু ঈদ বোনাস দেয়ার তারিখের আগের দিন কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়। কারখানা বন্ধের কথা গতকাল শ্রমিকদের জানানো হয়নি। কি কারণে কারখানা ছুটি হলো সেটাও শ্রমিকরা জানে না। কারখানা বন্ধের কারণ জানতে জোরপূর্বক কারখানার ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে শ্রমিকরা। এসময় ভেতরে প্রবেশ করতে না দেয়ায় কারখানার সামনেই বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানার সুপারভাইজার বলেন, গতকাল স্টাফদের বেতন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ বেতন প্রদান করেননি। যে কারণে স্টাফরা গতকাল কর্মবিরতি পালন করেছে। আজ শ্রমিকরা কারখানার সামনে গেলে কারখানা বন্ধ বলে শ্রমিকদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। শ্রমিকরা জোরপূর্বক কারখানায় প্রবেশ করতে গেলে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় দুই থেকে তিনজন শ্রমিক আহত হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। এদিকে, ওডিসি ক্রাফট লিমিটেডের এইচআর অ্যাডমিন ম্যানেজার নুরুল ইসলামের মুঠোফোনে শ্রমিক অসন্তোষের কারণ জানতে চাইলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন। পরবর্তীতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি আর কল রিসিভ করেননি।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ ১ এর সহকারী পুলিশ সুপার রাশেদুল বারি বলেন, শ্রমিকদের বেতন দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু বেতন দিতে পারে নাই কর্তৃপক্ষ। এজন্য মালিকপক্ষ আজকের জন্য কারখানা বন্ধ রেখেছে। কিন্তু শ্রমিকরা কারখানায় এসে হামলা করে। আমরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে কারখানার সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সচেষ্ট আছি।