গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার চায়ের দোকানে নিজের হাতে চা বানালেন মমতা

গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার চায়ের দোকানে নিজের হাতে চা বানালেন মমতা

ছবিঃ সংগৃহীত।

কয়েক দিন আগে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে। ঘটনার দিন রাতেই সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তারপর থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখছেন মমতা।

বুধবার (৩ এপ্রিল) পরনে কালো পাড় সাদা শাড়ি ও কাঁধে একটি সাদা রঙের শাল পরে উত্তরবঙ্গে চালসা চা বাগান পরিদর্শনে যান মমতা ব্যানার্জী। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে বাগানের চা শ্রমিকরা তাদের অভাব অভিযোগের কথা শোনান।তাদের অভিযোগের কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, এখানে পঞ্চায়েতের কোনো অফিসার উপস্থিত রয়েছেন কিনা। এরপর পঞ্চায়েতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ডেকে দ্রুত সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

চালসার চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে সেখান থেকে গাড়িতে করে নিজের গন্তব্যস্থলে যাওয়ার সময়, হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে রাস্তার পাশে এক চায়ের দোকানে যান তিনি। দোকানীর সঙ্গে কথা বলতে বলতে চা বানাতে শুরু করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

এ সময় সেখানে উপস্থিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিজের হাত বানানো চা পান করালেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে পরিশুদ্ধ পানি ও রাস্তার সমস্যার কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

সবার কথা মন দিয়ে শুনলেন মমতা ব্যানার্জী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কথাও তুলেও ধরেন তিনি। মমতা বলেন, এখন নির্বাচনী আচরণবিধি রয়েছে। তবে যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে।এদিন চালসায় জনসংযোগ করতে বেরিয়ে সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। গোটা এলাকার বেশিরভাগ পায়ে হেঁটে ঘুরেছেন তিনি। সেখানকার ঘরের মেয়ের মতোই স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে বসে গল্প করতেও দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে। সেখানকার এক স্থানীয় বাসিন্দার ঘরে ঢুকে রান্নায় হাত লাগাতেও দেখা যায় মমতাকে।

কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বলেন, আগে পশ্চিমবঙ্গের লোককে টি-বোর্ড, পোর্ট , হলদিয়া বন্দর, দামোদর ভ্যালি করপোরেশনে (ডিভিসি) রাখা হতো। ইতিহাস ঘাটুন এখন আর আমাদের কাউকে রাখা হয় না। কাজেই ওদেরটা ওদের ওপর ছেড়ে দিন, এই নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করছি না।এদিনের জনসংযোগে মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।