গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৫৯, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২৯৭৫

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৫৯, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২৯৭৫

সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৫৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৩ জন আহত হয়েছে। এতে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান এ সংঘাতে ফিলিস্তিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৯৭৫ জনে। পাশাপাশি এ সময় আহত হয়েছে আরো ৭৫ হাজার ৫৭৭ জন।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার (৩ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছে। কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছতে পারছেন না।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এ হামলা অব্যাহত আছে।

জাতিসংঘের মতে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেই সঙ্গে অঞ্চলটির ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। 

জাতিসংঘ আরও বলছে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। এছাড়াও খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।

গত মাসের শেষের দিকে (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইসলামের পবিত্র রমজান মাসে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি প্রস্তাব পাস করেছে।

হামাস এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ফিলিস্তিনি ছিটমহলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। 

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আইসিজে একটি অন্তর্বর্তী রুল জারি করে তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কাজ বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের গ্যারান্টি দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়।