শেষ ওভারে নাটকীয় জয় পাঞ্জাবের

শেষ ওভারে নাটকীয় জয় পাঞ্জাবের

সংগৃহীত

আহমেদাবাদে গুজরাট টাইটানস ও পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচটি ছিল রং বদলানো । প্রতমে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামে গুজরাট। শুরু থেকে একই তালে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান তোলে শুবমান গিলের দল। পাঞ্জাবের ইনিংস শুরুতেই এলোমেলো হয়ে যাওয়ায় এই ১৯৯ রান কম কিছু নয়। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয়ার্ধে ছোট্ট একটা ঝড় তোলে শশাংক সিং ও জিতেশ শর্মা।বারবার রং বদলানো ইনিংসের পর গুজরাটকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে পাঞ্জাব।

২০০ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই দলের মাত্র ১৩ রানে পাঞ্জাব হারায় অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানকে।

১৩ বলে ৪ চারে ২২ রান করে দলকে আশা দেখান জনি বেয়ারস্টো। কিন্তু ফিরে যান ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে। এরপর ৬ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে এলোমেলো হয়ে যায় পাঞ্জাবের ইনিংস। এ যেন গুজরাটের ঘরের মাঠে অসহায় আত্মসমর্পণ।

কিন্তু সিকান্দার রাজা ও শশাংকের ব্যাটে তারা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে । দুজনে মিলে ২২ বলে তোলেন ৪১ রান । ১৬ বলে ১৫ রান করে মোহিত শর্মার বলে রাজা আউট হয়ে ফিরলে ভাঙে এ জুটি।

জয় নিয়ে দেখা দেয় সংশয়।মনে হচ্ছিল, আর জেতা হচ্ছে না পাঞ্জাবের। কেননা তখন ১২.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তাদের রান ছিল ১১১। জিততে হলে ৪৬ বলে ৮৯ রান প্রয়োজন ছিল পাঞ্জাবের ।

ফের পাঞ্জাবকে আশা দেখায় শশাংক ও জিতেশের ১৯ বলে ৩৯ রানের জুটি। কিন্তু ৮ বলে ২ ছয়ে ১৬ রান করে আউট হয়ে যায় জিতেশ।আবার হতাশা দেখা দেয় প্রীতি জিনতার দলের।

এরপরও হাল ছাড়েননি শশাংক ও বদলি খেলোয়াড় আশুতোষ শর্মা। দুজনে মিলে ম্যাচ নিয়ে যেতে থাকেন গভীরে। শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য পাঞ্জাবের প্রয়োজন ছিল ১২ বলে ২৫ রান।

মোহিতের করা ইনিংসের ১৯তম ওভারে ১৮ রান নিয়ে আরও সহজ করেন শশাংক ও আশুতোষ।

শেষ ওভারে দরকার ছিল ৭ রান। এ সময় গুজরাট অধিনায়ক গিল একটা ফাটকা খেলেন। তিনি বল তুলে দেন এর আগে একটিও ওভার না করা দর্শন নালকান্দেকে। দর্শন প্রথম ওভারেই ফেরান ১৭ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩১ রান করা আশুতোষকে। ২২ রানে ৪৩ রানের জুটি ভেঙে যায়।

আশুতোষের পর ব্যটিংয়ে আসেন হারপ্রীত ব্রার। নতুন ব্যাটসম্যানকে বাউন্সার দিতে গিয়ে অতিরিক্ত উচ্চতার কারণে ওয়াইড দেন দর্শন। দ্বিতীয়টি রিভিউ নিয়ে জেতে গুজরাট।

ফলে শেষ ৪ বলে ৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় পাঞ্জাবের সামনে। পরের বলটিতে সিঙ্গেল নিয়ে শশাংককে স্ট্রাইক দেন হারপ্রীত। স্ট্রাইক পেয়ে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে চার মারেন শশাংক। এরপর ১ বল হাতে রেখেই সিঙ্গেল নিয়ে প্রীতির পাঞ্জাবকে আইপিএলে দ্বিতীয় জয় এনে দেন তিনি। মাঠ ছাড়ার সময় ২৯ বলে ৬ চার ও ৪ ছয়ে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন শশাংক।

এর আগে গিলের ৪৮ বলে ৬ চার ও ৪ ছয়ে অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৯৯ রান করে গুজরাট। দলটির পক্ষে সাই সুদর্শন করেছেন ১৯ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান ।