কুড়িগ্রামে ছেলের হাতে বাবা খুন

কুড়িগ্রামে ছেলের হাতে বাবা খুন

ছবিঃ সংগৃহীত।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ ছেলের ছুরিকাঘাতে আকবর আলী ওরফে একাব্বর (৫৯) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। একই সময় ছেলের ছুরিকাঘাতে একাব্বরের স্ত্রী ও অভিযুক্ত যুবকের মা সাহেরা বানু গুরুতর আহত হয়েছেন।

শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের হক বাজারের চর-যতিন্দ্র নারায়ণ গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ছেলে সাজেদুলকে (৩৫) নিকটবর্তী ভুট্টাক্ষেতে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় আটক করে।ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আকবর আলী ওরফে একাব্বর শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। তার চার ছেলে। অভিযুক্ত সাজেদুল তার বড় ছেলে। সাজেদুল দীর্ঘদিন থেকে মানসিক রোগে ভুগছেন বলে পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সাজেদুল শুক্রবার রাতভর সেচপাম্প দিয়ে নিজেদের ভুট্টাক্ষেতে পানি সেচ দেন। শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাড়িতে ফিরলে তার বাবা একাব্বর তাকে ভাত খেয়ে আবারও ভুট্টাক্ষেতে পানি সেচ দিতে বলেন। সাজেদুল রান্নাঘরে গিয়ে তার জন্য ভাত দেখতে না পেয়ে রেগে যান। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার মা সাহেরা বানুকে ছুরিকাঘাত করেন। ছেলের আক্রমণ থেকে স্ত্রীকে রক্ষা করতে গেলে সাজেদুলের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে একাব্বর গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা একাব্বর ও তার স্ত্রী সাহেরা বানুকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১টার দিকে একাব্বরের মৃত্যু হয়। তার স্ত্রী এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মজিবর রহমান নিহতের পরিবারের বরাতে জানান, নিহত একাব্বরের চার ছেলে। তাদের মধ্যে অভিযুক্ত সাজেদুল মানসিক ভারসাম্যহীন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করালেও সে সুস্থ হয়নি। অসুস্থতার জন্য তার স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে গেছেন।

ওসি প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, ‘অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করা হয়েছে। তার মধ্যে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীনতা দেখা গেছে। এ ঘটনায় নিহতের আরেক ছেলে বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’