রাশিয়ার তীব্র হামলার মুখে ইউক্রেন

রাশিয়ার তীব্র হামলার মুখে ইউক্রেন

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার তীব্র হামলার মুখে পড়েছে ইউক্রেন। কমে চলা অস্ত্র ও গোলাবারুদ সত্ত্বেও রাশিয়ার হামলা মোকাবেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি। সে দেশের বিমানবাহিনী একাধিক অঞ্চলের উপর রাশিয়ার প্রায় ২০টি ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে। 

মঙ্গলবার ইউক্রেনীয় বাহিনীর কমান্ডার মিকোলা ওলেশচুক এই দাবি করেছেন। রাশিয়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করেছে। তবে সেই হামলাও বানচাল করা সম্ভব হয়েছে কিনা, তিনি সে বিষয়ে মন্তব্য করেননি। খবর রয়টার্সের

খবরে বলা হয়েছে, সোমবার রাশিয়ার হামলায় কমপক্ষে ছয় জন নিহত হয়েছেন। জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশেপাশেও উত্তেজনা বজায় রয়েছে। এর আগে কেন্দ্রের উপর দুটি ড্রোন হামলা নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছিল। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা সেই এলাকার নিরাপত্তা বজায় রাখার গুরুত্ব আবার তুলে ধরেছে।

ইউক্রেনও রাশিয়ার উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে রাশিয়া কৃষ্ণসাগরে জাহাজ-বিধ্বংসী নেপচুন মিসাইল ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্তের কাছে বেলগোরোদ ও ভোরোনেজ অঞ্চলে ইউক্রেনের চারটি ড্রোন হামলাও বানচাল করা হয়েছে।

এদিকে মার্কিন সংসদের নিম্ন কক্ষে ইউক্রেনের জন্য ৬০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তার প্যাকেজ অনুমোদনের জন্য চাপ বাড়ছে। উচ্চ কক্ষের অনুমোদন সত্ত্বেও রিপাবলিকান দলের একাংশ যেভাবে ৯৫০ কোটি ডলার অংকের বৈদেশিক সাহায্যের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে চলেছে, তা নিয়ে ওয়াশিংটনে জোরালো বিবাদ চলছে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুগামীরা স্পিকার মাইক জনসনের উপর বিলটি ভোটাভুটির জন্য পেশ না করতে চাপ বজায় রেখেছেন। তবে এবার ট্রাম্পের আমলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও রিপাবলিকান দলের একাধিক নেতার সঙ্গে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা প্রস্তাব অনুমোদনের ডাক দিয়েছেন। এক খোলা চিঠিতে তারা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। জনসন অবশ্য এখনো সেই প্রস্তাব নিয়ে অগ্রসর হওয়ার কোনো ইঙ্গিত দেননি।

ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ট্রাম্প এক অন্তরঙ্গ আলাপে ইউক্রেন সংকটের সমাধানসূত্র তুলে ধরেছেন। ক্ষমতায় ফিরলে তিনি নাকি ইউক্রেনকে কিছু ভূখণ্ড রাশিয়ার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য চাপ দেবেন। ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তাও কার্যত বন্ধ করে দিতে চান ট্রাম্প।