নড়াইলে ১০ দোকানে হামলা, মালামাল-অর্থ লুট

নড়াইলে ১০ দোকানে হামলা, মালামাল-অর্থ লুট

ছবি: সংগৃহীত

নড়াইলে ১০টি দোকান ভাঙচুর, নগদ অর্থ ও মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোরে সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের গন্ধর্ব্যখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন বাজারের ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান রনি।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গন্ধর্ব্যখালী গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপ রয়েছে। একটি এই মামলার বাদীপক্ষের অর্থাৎ মিনাদের গ্রুপ অন্যটি ওহাব বিশ্বাসের গ্রুপ।

মামলার এজহার ও ভুক্তভোগীদের বিবরণে জানা গেছে, গত ৯ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে গন্ধর্ব্যখালী বাজারে মিনা গ্রুপের জাহাঙ্গীর শেখের ছেলে জয়নাল শেখের (২১) সাথে মোবাইলে মেসেজ আদান-প্রদান নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয় প্রতিপক্ষ বিশ্বাস গ্রুপের নয়ন বিশ্বাসের। এ সময় মামলার বাদী বাজারের ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান রনি ঠেকানোর উদ্দেশ্যে এগিয়ে যান। তখন নয়ন বিশ্বাস বলেন, ‘আমার সঙ্গে কথা-কাটাকাটির মজা পরে দেখাব।’

পরদিন ভোর সাড়ে ৬টায় সাঈদ মোল্যা ও ওহাব বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিশ্বাস গ্রুপের জামাল বিশ্বাস, সবুজ বিশ্বাস, নয়ন বিশ্বাসসহ আসামিরা রামদা, লোহার রড, ও কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাদী মাহমুদুল হাসান রনিদের পক্ষের অর্থাৎ মিনা গ্রুপের অন্তত ১০টি দোকানপাটে হামলা করে মালামাল ও টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওহাব বিশ্বাস বলেন, বিগত সময়ে প্রতিপক্ষের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দোকাপাটে সামান্য ভাঙচুর করেছে তাদের লোকজন। কিন্তু মালামাল বা টাকাপয়সা লুটের ঘটনা সত্য নয়।

চন্ডিবরপুর ইউনিয়নে দায়িত্বরত থানা পুলিশের বিট অফিসার এসআই পলাশ কুমার বলেন, ওই এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে আইনানুযায়ী ব্যবস্তা নেওয়া হবে।