দাবদাহে পুড়ছে ভারত, দুর্যোগে বিপর্যস্ত পাকিস্তান-আফগানিস্তান

দাবদাহে পুড়ছে ভারত, দুর্যোগে বিপর্যস্ত পাকিস্তান-আফগানিস্তান

ছবি:সংগৃহীত

বাংলাদেশের মতো তীব্র দাবদাহে পুড়ছে ভারতও। বৃষ্টির জন্য হা-পিত্যেশ শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। পশ্চিমবঙ্গের সাত জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা উঠেছে ৪২ ডিগ্রির বেশি। ভারতের আবহাওয়া দফতর মনে করছে, এল নিনোর (জলবায়ুর ধরন) প্রভাবে বর্ষার প্রথম ভাগে তাপমাত্রা বাড়বে। যা মোটামুটি জুলাই অবধি চলবে। এরপর বৃষ্টি বাড়বে।  দুর্যোগ বাড়বে পুরো ভারতেই ।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড ও কর্নাটকেও তীব্র দাবদাহ চলছে। তাছাড়া, দাবদাহে সবচেয়ে বেশি নাকাল অবস্থা পশ্চিমবঙ্গে। সোমবার পানাগড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পানাগড় ছাড়াও আরও ছয় জায়গায় দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল। মেদিনীপুরে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বর্ধমানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ব্যারাকপুর ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ায় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কলাইকুণ্ডায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনের তাপমাত্রা। 

এদিকে, প্রচন্ড গরমে বাংলাদেশ ও ভারত যখন ধুঁকছে, ঠিক একই সময়ে লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যার কবলে পড়েছে দিল্লির প্রতিবেশী পাকিস্তান ও এর পার্শ্ববর্তী আফগানিস্তান। অতিবৃষ্টি থেকে সৃষ্ট বন্যায় এই দুই দেশে এখন পর্যন্ত অন্তত ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

গত তিন দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি ও বজ্রপাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ৫৫ জনের। এর মধ্যে পাঞ্জাবে ২২ জন ও বেলুচিস্তানে মারা গেছেন ১২ জন। বাকিরা খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে মারা গেছেন। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে বালুচিস্তানে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সরকার। 

অন্যদিকে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলসহ একাধিক প্রদেশ ভয়ংকর বন্যায় ভাসছে বলে জানিয়েছেন তালিবান সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মুখপাত্র আবদুল্লা জানান শেখ। তিনি জানান, বন্যায় আফগানিস্তানে গত তিনদিনে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৬০০-এর বেশি বাড়ি ভেঙে পড়েছে, মারা গেছে ২০০-এর বেশি গবাধি পশু। প্রায় ৮০০ হেক্টর চাষযোগ্য জমি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।