বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস আজ

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস আজ

ফাইল ছবি

আজ ১৮ এপ্রিল, বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস। ‘ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল ফর মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটস (ICOMOS)’ ১৯৮২ সালে তিউনিশিয়ায় একটি আলোচনা সভায় ১৮ এপ্রিলকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কোর ২২তম সাধারণ সম্মেলনে দিনটি ‘বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। সেই থেকে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়।

প্রতি বছর ১৮ এপ্রিল বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস পালন করা হয় বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং স্মৃতিসৌধের ইতিহাস, বৈচিত্র্য এবং দুর্বলতা সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। এই বিশেষ দিনটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে বোঝার জন্য চিহ্নিত করে যা সংরক্ষণের যোগ্য। আমাদের উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং আমাদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করার জন্য তরুণ প্রজন্মের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেওয়ার জন্য দিনটি পালিত হয়। এটি স্থপতি, প্রকৌশলী, ভূগোলবিদ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, শিল্পী এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতো সমস্ত লোকের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিতে চায়, যারা ঐতিহ্য সংরক্ষণে অবদান রাখে।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) ১৬৭টি দেশে মোট ১১৫৫টি স্মৃতিস্তম্ভকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে মনোনীত করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৩টি স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্যস্থল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলো হলো- নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, বাগেরহাটের মসজিদ শহর এবং সুন্দরবন।

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার (১৯৮৫) ও বাগেরহাট মসজিদ শহর (১৯৮৫) বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যভুক্ত প্রত্নস্থল। প্রাকৃতিক স্থান হিসেবে বিশ্বে প্রাকৃতিক ঐতিহ্যস্থলভুক্ত হয়েছে সুন্দরবন (১৯৯৭)। এটি পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। এছাড়া বিশ্বের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জায়গা পেয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং শীতলপাটি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকেও ইউনেস্কো আওতাভুক্ত করেছে ২০১৭ সালে ‘মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নামে।

এসব ঐতিহ্যকে জানার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিবছর অনেক পর্যটক বাংলাদেশে আসছে। যা দেশের পরিচিতি এবং অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিশ্বের দরবারে।