লোয়ার মিডলের ব্যর্থতায় বৃথা গেল ম্যাগার্ক ঝড়, দিল্লির বড় হার

লোয়ার মিডলের ব্যর্থতায় বৃথা গেল ম্যাগার্ক ঝড়, দিল্লির বড় হার

সংগৃহীত

পাহাড়সম লক্ষ্যের সামনে দাঁড়িয়ে ৫ চার আর ৭ ছয়ে সাজানো ফ্রেজার-ম্যাগার্কের ১৮ বলে ৬৫ রানের টর্নেডোটি ছিল স্রেফ চোখের শান্তি। 

ঘরের মাঠে আজ ম্যাচ জিততে বিশ্ব রেকর্ডই করতে হতো দিল্লি ক্যাপিটালসকে। লক্ষ্য যে ২৬৭ রান! অবশ্য নিজেদের অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার ফ্রেজার-ম্যাগার্কের ঝড়ো ইনিংসের তোড়ে ম্যাচের পাওয়ার প্লে পর্যন্ত বেশ দাপটের সঙ্গেই সেই লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছিল রিশব পান্তের দল। কিন্তু লক্ষ্যটা যে পাহাড় সমান! প্রয়োজন ছিল দলের সবার কমবেশি পারফর্ম করার। সেটাই পারলো না দিল্লি।

দলের লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের নিদারুণ ব্যর্থতায় বড় হারই সঙ্গী হলো দিল্লি ক্যাপিটালসের। আর তাতেই আরেকবার সার্থকতা পেল ট্রাভিস হেডের বড় ইনিংস; টানা চতুর্থ জয় পেল তার দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।

এবারের আইপিএল যেন দুহাত ভরে দিচ্ছে ট্রাভিস হেডকে। ক্রিজে নেমে রান পাচ্ছেন ঝড়ের বেগে, আর তাতে ভর করে হায়দ্রাবাদেরও জয়রথ ছুটছে সমানতালে। এর আগের ম্যাচেই ট্রাভিসের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৮৭ রানের পুঁজি পায় হায়দরাবাদ। পরে বিরাট কোহলি, ডু প্লেসিস আর দিনেশ কার্তিকের সম্মিলিত প্রচেষ্টাও হারাতে পারেনি তাদেরকে।

আজকের ম্যাচে সেঞ্চুরি না পেলেও ট্রাভিসের ব্যাট থেকে ৮৯ রান আসে মাত্র ৩২ বলে। অষ্টম ওভারের শেষ বলে কুলদীপ যাদবের বলে ক্যাচ না দিলে হয়তো আগের ম্যাচের নিজের গড়া দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটাই ভেঙে ফেলতেন হায়দ্রাবাদের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার।

নিজের সেঞ্চুরি না এলেও রেকর্ডে অবশ্য নাম ঠিকই লেখা হয়েছে ট্রাভিসের। অভিষেক শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে ঝড়ো শুরুতে আইপিএল ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি এনে দিয়েছেন দলকে।একইসঙ্গে সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েছেন এ জুটি। আইপিএলের ৩৫তম ম্যাচে এসে ৬ ওভারে তাদের সংগ্রহ ১২৫ রান। ষষ্ঠ ওভার পর্যন্ত চলা এই তাণ্ডবে হেড অপরাজিত ছিলেন ২৬ বলে ৮৪ রানে। অপরপ্রান্তে থাকা অভিষেক শর্মার তখন ১০ বলে ৪০ রান। এই দুইয়ের ঝড়ো গতির বড় জুটিকে কাজে লাগিয়ে ৭ উইকেট খরচায় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ পেয়ে যায় ২৬৬ রানের বিশাল পুঁজি। ২২ ছক্কা আর ১৮ চারে সাজানো সানরাইজার্সের এই ইনিংসটি চতুর্থ সর্বোচ্চ স্কোর আইপিএল ইতিহাসের।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে মারকাটারি শুরু করে দিল্লিও। চার বলে ১৬ রান তুলে পরের বলে ওপেনার পৃথ্বী শ এবং দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ওয়ার্নার এক রান করে আউট হলেও ম্যাগার্কের ১৮ বলে ৬৫ রানের ঝড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নেয় ক্যাপিটালস; সঙ্গে ম্যাচেও টিকে থাকে ভালোভাবেই। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলেই ছন্দপতন। মায়াঙ্ক মার্কান্ডের বলে ক্যাচ দিয়ে যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছিলেন ম্যাগার্ক, দিল্লির রান তখন তিন উইকেটে ১০৯।

এরপর দিল্লি ম্যাচে ছিল আর মাত্র দেড় ওভারের মতোন। ৮ ওভার চার বলে অভিষেক পোরেল যখন ২২ বলে ৪২ রান করে আউট হন দিল্লির ইনিংস তখন ৪ উইকেটে ১৩৫। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি স্বাগতিকরা। লোয়ার মিডল অর্ডারের চরম ব্যর্থতায় ১৯.১ ওভারে ১৯৯ রানে অলআউট হয় দিল্লি। দলের শেষ তিন ব্যাটার ফেরেন রানের খাতা না খুলেই।

এর আগে হায়দরাবাদ আইপিএল ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ ইনিংস গড়ে দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড (৩২ বলে ৮৯) ও অভিষেক শর্মার (১২ বলে ৪৬ রান) ঝড়ে।