নিউজিল্যান্ডকে হেসেখেলে হারল পাকিস্তান

নিউজিল্যান্ডকে হেসেখেলে হারল পাকিস্তান

সংগৃহীত

পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি মাঠে গড়ায় মাত্র ২ বল। বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। বৃষ্টির বাঁধা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় ম্যাচ। যে ম্যাচে হেসেখেলে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এই ম্যাচ জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। সফরকারী নিউজিল্যান্ড মাত্র ৯০ রানে গুটিয়ে গেলে সেই ম্যাচ ৪৭ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিকরা।

শনিবার (২১ এপ্রিল) টস হেরে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের কোনো ব্যাটারই মাঠে টিকতে পারেননি পাকিস্তানের বোলারদের বোলিং তোপে। দলীয় ১৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানোর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কিউইরা। ২০ রানের ঘরও স্পর্শ করতে পারেননি সফরকারী দলের কোনো ব্যাটার।।

নিউজিল্যান্ডের প্রথম উইকেট নেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিনি ফেরান ১০ বলে ১২ রান করা টিম সেইফার্টকে। পরের ওভারে টিম রবিনসনকে ফেরান অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা মোহাম্মদ আমিরের। ৪ বলে ৪ রান করে ইফতিখারের হাত্যে ক্যাচ দেন তিনি।

পরের ওভারে বল করতে এসে আরও একটি উইকেট তুলে নেন আমির। নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন ডিন ফক্সক্রফটকে। বাবর আজমকে ক্যাচ দেয়ার আগে ১৪ বলে ১৩ রান করেন তিনি।

কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৯ রান অলরাউন্ডার মার্ক চাপম্যানকে তুলে নেন লেগস্পিনার আবরার আহমেদ। এছাড়া ১৮ বলে ১৫ রান করেন কোল ম্যাককনসি। অবশেষে ৯০ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।

এই ক্ষুদ্র লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় পাকিস্তান দলীয় ৪ রান ওপেনার সাইম আইয়ুবের উইকেট হারালে। এরপর বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ২৭ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়েন। ১৪ রান করে বাবর আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার পর ইরফান খানের সঙ্গে ৩৬ রানের অপরাজিত জুটি করে দলকে জয় এনে দেন রিজওয়ান। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৪৫ রান।

পাকিস্তানের হয়ে ১৩ রান খরচায় শাহিন নেন ৩ আর আমির নেন ২ উইকেট। আবরার ও সাদাব ১৫ রান খরচায় নেন ২টি করে উইকেট। একটি উইকেট নেন নাসিম শাহ। আর নিউজিল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট নেন বেন লিস্টার, মাইকেল ব্রেসওয়েল ও ইশ সোধি। ম্যাচসেরা হন শাহিন শাহ আফ্রিদি।