সন্ত্রাসী সংগঠন নিষিদ্ধ করতে একমত পাকিস্তান-ইরান

সন্ত্রাসী সংগঠন নিষিদ্ধ করতে একমত পাকিস্তান-ইরান

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান ও ইরান সন্ত্রাসী সংগঠন নিষিদ্ধ করতে একমত হয়েছে। সোমবার পাকিস্তান ও ইরান নিজ নিজ দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন নিষিদ্ধ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি এবং ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আহমদ ওয়াহিদি এবং আইনমন্ত্রী আমিন হুসেন রহিমির মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ বৈঠকে পারস্পরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্যের আদান-প্রদানকে আরো উন্নত করার কথা বলা হয়। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের হুমকি একটি সাধারণ সমস্যা হিসেবে মোকাবিলা করার জন্য উভয় পক্ষ একটি যৌথ কর্ম পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে। এ বিষয়ে শিগগিরই একটি নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ধর্মীয় উৎসব আরবাইন উপলক্ষে পাকিস্তানি তীর্থযাত্রীদের সম্ভাব্য সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উভয় পক্ষ একমত পোষণ করেছে যে যৌথভাবে উদ্যোগ নিলে তীর্থযাত্রীদের সর্বোত্তম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা আরো সহজ হবে। এ সময় ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তান সরকারকে ইরান সফরের আমন্ত্রণ জানান। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি ইরানের এ আমন্ত্রণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

বিজনেস রেকর্ডার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরান-পাকিস্তান  উভয়পক্ষ বন্দি নাগরিকদের উপর আরোপিত জরিমানা মওকুফ করতে সম্মত হয়েছে। এ ব্যাপারে, মহসিন নকভি বলেন, তিনি চেয়েছিলেন যে ইরানে পাকিস্তানি বন্দিরা যত দ্রুত সম্ভব স্বদেশে ফিরে যাক। এজন্য চোরাচালান ও মাদক পাচার রোধে পদক্ষেপসহ সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ।

মন্ত্রী নকভি বলেছেন, চোরাচালান বন্ধ হলে দুই দেশের সীমান্ত উত্তেজনা বন্ধ হবে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করবে।  এ ব্যাপারে, উভয় দেশ যত দ্রুত সম্ভব সীমান্ত বাজার সক্রিয় করতে সম্মত হয়েছে।

মন্ত্রী নকভি আরো বলেন, পাকিস্তান ইরানের সঙ্গে তার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় এবং পারস্পরিক সহযোগিতা আরো জোরদারে আগ্রহী।

নকভি  গাজার নির্যাতিত মুসলমানদের অধিকার আদায়ে সব ইসলামিক দেশকে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানান। তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থানকে সমর্থন করার জন্য ইরান সরকারকেও ধন্যবাদ জানান।

ইরানের প্রেসিডেন্টের পাকিস্তান সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।

এ সময় ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সীমান্তে বেড়া নির্মাণে পাকিস্তানের কাজের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে পাকিস্তানের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পর্ক রয়েছে। পরে ইরানের দুই মন্ত্রী পাকিস্তানের আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।