কুবি উপাচার্যসহ তিনজনকে অবাঞ্ছিত করার হুশিয়ারি শিক্ষক সমিতির

কুবি উপাচার্যসহ তিনজনকে অবাঞ্ছিত করার হুশিয়ারি শিক্ষক সমিতির

ফাইল ছবি

কুবি প্রতিনিধিঃ শিক্ষক সমিতির যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবিসমূহ সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিতকরনের হুশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। এই মর্মে মঙ্গলবার উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বরাবর শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি প্রদান করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, শিক্ষক সমিতির ০৭টি যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবি বারংবার মৌখিক ও লিখিতভাবে অবহিত করলেও প্রশাসন দাবিবিসমূহ সমাধানের কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে নি।

উপরন্তু গত ২২ এপ্রিল 'কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের স্পষ্টীকরণ, অগ্রগতি এবং করণীয় সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে অবৈধভাবে পদায়িত, বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ফৌজদারি মামলার আসামি সহযোগে একটি কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষকদের যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবিসমূহ সমাধানে শাসন কর্তৃক গৃহীত এ উদ্যোগ হাস্যকর হিসেবে শিক্ষকরা মতামত দেন এবং উক্ত কমিটি প্রত্যাখান করেন। চিঠিতে আরো বলা হয়, এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, উপচার্য শিক্ষকদের অবজ্ঞা করে সমস্যা সমাধানে মোটেও আগ্রহী নন। এমতাবস্থায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষক সমিতির দাবিসমূহ সমাধানের জন্য আপনাকে চরমপত্র (আল্টিমেটাম) প্রদান করা হলো।

অন্যথায় আগামী ২৫ এপ্রিল হতে আপনি, মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, আপনার সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির দোসর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় কোশাধ্যক্ষ ড. মো আসাদুজ্জামান এবং প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রবেশ সংরক্ষিত থাকবে।

এ বিষয়ে উপাচার্য এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড এএফএম আবদুল মঈন বলেন, তদের দাবিগুলোর সমাধানের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও তাদেরকে বলা হয়েছে আপনারা বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সাথে বসেন। তারা বলেছিলো তারা বসবে। কিন্তু তারা বসেন নি।

তিনি আরো বলেন, তারা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ দেওয়া ব্যক্তিকে কেউ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে পারেন কিনা এ বিষয়ে আমার জানা নেই। সেটি শিক্ষক সমিতি ভালো বলতে পারবে।