ব্রিটিশ জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি হুতির

ব্রিটিশ জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি হুতির

ছবি : সংগৃহীত

লোহিত সাগরের মূর্তিমান আতঙ্ক হুতিরা এবার যুক্তরাজ্যের একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে। ইয়েমেনের মোচা উপকূল থেকে প্রায় ১৫ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর  বিবিসির। 

হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক টেলিভিশন ভাষণে জানিয়েছেন, তাদের যোদ্ধারা নৌ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যের তেলবাহী ট্যাংকার ‘আন্দ্রোমেদা স্টারে’ সরাসরি হামলা চালাতে সমর্থ হয়েছে। 

এদিকে গ্লোবাল রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ফার্ম অ্যামব্রে দাবি করেছে, ‘আন্দ্রোমেদা স্টার’ জাহাজটি পানামার পতাকাবাহী এবং জাহাজটি বর্তমানে যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন নয়। ট্যাঙ্কারটি ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন ছিল বলে জানিয়েছে অ্যামব্রে। সংস্থাটির মতে, বর্তমানে এটি পূর্ব আফ্রিকার দেশ সেশেলসের মালিকানাধীন।

ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি এজেন্সি ইউকেএমটিও জানিয়েছে, পানামার পতাকাবাহী জাহাজটিতে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে এবং এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো আহত বা মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

অ্যামব্রে জানিয়েছে, জাহাজটি লক্ষ্য করে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হুতিরা। ইয়েমেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাইজ প্রদেশ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, অ্যান্ড্রোমিডা স্টার জাহাজটি ছোটখাটো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং এটি তার সমুদ্রযাত্রা চালিয়ে যাচ্ছে।

অ্যামব্রে এর আগে লোহিত সাগরের রুট ব্যবহার করার আগে জাহাজের মালিক ও অপারেটরদের ‘পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অধিভুক্তি পরীক্ষা’ করার পরামর্শ দিয়েছিল। কারণ হুতিরা পূর্ব মালিকানাধীন জাহাজগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে। 

গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে চলাচল করা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলি জাহাজে হামলা চালানো শুরু করে হুতি বিদ্রোহীরা তারা জানায়, ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর প্রতি একাত্মতা প্রকাশের অংশ হিসেবে তারা এসব দেশের জাহাজকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।

এর আগেও যুক্তরাজ্যের জাহাজে হামলা চালিয়েছিল হুতিরা। সশস্ত্র এ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলায় গত ফেব্রুয়ারিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল রুবিমার নামের একটি ব্রিটিশ জাহাজ। বেশ কয়েকদিন ভেসে থাকার পর গত ২ মার্চ এটি সমুদ্রের অতল গভীরে তলিয়ে যায়। যদিও জাহাজটিকে তীরে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এতে সফল হননি উদ্ধারকারীরা।