হিলিতে তীব্র গরমে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

হিলিতে তীব্র গরমে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

সংগৃহীত

দিনাজপুরের হিলিতে গত কয়েক দিন থেকে বেড়েছে তাপমাত্রা, যার ফলে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। সেই সঙ্গে হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন হাসপাতালে ৫ থেকে ১০ জন রোগী ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা নিতে আসছেন। এই জেলাতে ৩৭ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। জরুরি কাজ ছাড়া বাহিরে বের হচ্ছে না মানুষ। ফলে আয় কমেছে রিকশা, অটোচার্জার চালকদের।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে হিলির বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায় লোক সংখ্যা অনেকটাই কম। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে রিকশা, ভ্যান ও অটোচার্জার নিয়ে বসে বসে সময় পার করছেন চালকরা।

হিলি চারমাথা মোড়ে বসে থাকা কয়েকজন রিকশাচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিনে তাদের ২০০ থেকে ২৫০ টাকা আয় করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কারণ, সকাল থেকে ১০টা পর্যন্ত যাত্রী কিছুটা দেখা মিললেও দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তেমন যাত্রী বা মানুষের দেখা মিলছে না। ফলে তাদের আয় অনেকটাই কমে গেছে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়াতে সামান্য আয় দিয়ে তারা সংসার চালাতে পারছেন না বলেও জানান।

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইলতুতমিশ আকন্দ বলেন, অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণে হিলিতে গত কয়েক দিনের তুলনায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ জন রোগী হাসপাতালে সেবা নিতে আসছেন। অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন আবার কেউ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছেন। এই গরমে ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে হলে সবাইকে পচা-বাসি খাবার পরিহার করতে হবে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, শনিবার দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৬ শতাংশ। বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪ কিলোমিটার।