ব্যারিস্টার খোকনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

ব্যারিস্টার খোকনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

ব্যারিস্টার খোকন

দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতির পদ নেয়ায় ব্যারিস্টার খোকনকে বহিষ্কারের যে আদেশ দিয়েছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়েছে বলে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) নিশ্চিত করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর রহমান।

এর আগে ২০ এপ্রিল দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতির পদ নেয়ায় ব্যারিস্টার খোকনকে বহিষ্কার করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি।

গত ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে মরিয়া ছিলেন সাতবারের আইনজীবী সমিতির সম্পাদক এবং দুবারের সভাপতি বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত সে সাফল্য পেয়েও যান তিনি। কিন্তু ১৪টি পদের বিপরীতে ব্যারিস্টার খোকনের সভাপতি পদসহ মাত্র চারটি পদে বিজয়ী হয় বিএনপি-জামায়াতপন্থি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য নীল প্যানেল। অন্যদিকে সম্পাদকসহ ১০টি পদে জয় পায় আওয়ামী লীগপন্থি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সাদা প্যানেল।

গত ২৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপির প্যানেল থেকে বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার খোকনসহ চারজনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে চিঠি দেয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। কিন্তু ৪ এপ্রিল দলীয় ফোরামের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই আনুষ্ঠানিকভাবে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। শাস্তি হিসেবে তাকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এতে ফোরামে দেখা দেয় বিভক্তি।