আইফোনের ব্যাটারি হেলথ পরীক্ষা করবেন যেভাবে

আইফোনের ব্যাটারি হেলথ পরীক্ষা করবেন যেভাবে

ছবি: সংগৃহীত

নিজের আইফোনের ব্যাটারি হেলথ নিয়ে যদি কৌতূহলী হয়ে থাকেন বা যদি এরইমধ্যে ব্যাটারি নিয়ে সমস্যায় থাকেন এবং অপ্রত্যাশিতভাবে ফোন বন্ধ হয়ে যায়, তবে জেনে রাখুন আইওএসে ব্যাটারি হেলথ পরীক্ষা করা খুব সহজ কাজ।

কোনো ব্যবহারকারী যদি প্রতি বছর বা দুই বছর পর পর আইফোন আপগ্রেড করেন, সেক্ষেত্রে ত্রুটিযুক্ত ফোন না কিনলে ব্যাটারিতে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম।

তবে, যাদের কাছে দুই বছর বা তার বেশি বয়সের আইফোন রয়েছে, তাদের জন্য ব্যাটারি কম থাকাই যেন স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ায়। কেমিক্যাল এজিং বা  রাসায়নিক বার্ধক্যের কারণে এবং ব্যাটারিটি কতগুলো চার্জ সাইকেলের মধ্য দিয়ে গেছে তার কারণে এটি হতে পারে বলে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট ৯টু৫ম্যাক।

ব্যাটারি হেলথ পরীক্ষা করবেন যেভাবে

১. আইফোনে সেটিংস অ্যাপ চালু করুন।

২. সেখান থেকে ‘ব্যাটারি’ অপশনে ট্যাপ করুন।

৩. এবারে ‘ব্যাটারি হেলথ অ্যান্ড চার্জিং’ অপশনে যান।

৪. ফোনের বর্তমান ব্যাটারি ক্যাপাসিটি পেইজের একদম ওপরে দেখা যাবে।

কখন আইফোনের ব্যাটারি বদলানো উচিত?

আইফোনের ব্যাটারি ক্ষমতা ৮০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে, ব্যাটারির কর্মক্ষমতার ওপরে নির্ভর করে পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছে ৯টু৫ম্যাক। এ ছাড়া, ব্যাটারির ক্ষমতা কমে যাওয়ার বিষয়ে ফোনের দেখানো সতর্কতা বা ব্যাটারি চার্জ ধরে না রাখার ক্ষেত্রেও পরিবর্তনের কথা বিবেচনা উচিত।

ওপরের ‘ব্যাটারি হেলথ অ্যান্ড চার্জিং’ অপশনে গেলে, ব্যাটারি স্বাস্থ্যের অবনতি হলে, অপ্রত্যাশিত শাটডাউন হলে অথবা সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স বজায় রাখতে না পারলে একটি সতর্কতা দেখাবে।

অ্যাপলের মতে, আইফোনের ব্যাটারি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যে, এটি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কাজ করলে, ৫০০ চার্জ সাইকেল বা ৫০০ বার সম্পূর্ণ চার্জ দেওয়ার পরও মূল ক্ষমতার ৮০ শতাংশ ধরে রাখবে।

তবে, আইফোনের ব্যাটারি মূল ক্ষমতার ৮০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে ‘পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট’ নামের একটি ফিচার স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রয়োগ করা হতে পারে। ফিচারটি অপ্রত্যাশিত শাটডাউন বা ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়া আটকাতে সাহায্য করে।

এ ছাড়া, আইফোনে যদি এমন কোনো সতর্কবার্তা দেখতে পান যেখানে ব্যাটারি স্বাস্থ্যের অবনতির কথা বলা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে অ্যাপলের অনুমোদিত ব্যাটারির সঙ্গে পুরোনো ব্যাটারি পরিবর্তনের জন্য অ্যাপল স্টোর, বা অ্যাপলের সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করার পরামর্শ উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।