বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা পুরস্কার জিতলেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিকরা

বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা পুরস্কার জিতলেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিকরা

সংগৃহীত

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো আয়োজিত এবারের বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা পুরস্কার (ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম প্রাইজ) জিতেছেন ফিলিস্তিনের সাংবাদিকরা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসন, গণহত্যা ও নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনাপ্রবাহ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরায় অসামান্য এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে তাদের।

শুক্রবার (৩ মে) ছিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। দিবসটি উপলক্ষে চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে বৃহস্পতিবার (২ মে) একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয় এবারের বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীদের নাম।

গাজার সাংবাদিকদের এ পুরস্কার জয় নিয়ে খ্যাতনামা সাংবাদিক এবং ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম প্রাইজ জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান মাউরিসিও ওয়েইবেল বলেন, এই অন্ধকার ও আশাহীনতার সময়ে যেসব ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নজিরবিহীন সংকটময় পরিস্থিতিতে গাজার কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছেন তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে আমরা একটি শক্তিশালী বার্তা দিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, মানুষ হিসেবে এই সাংবাদিকরা যে সাহস দেখাচ্ছেন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি যে অঙ্গীকার রেখে চলেছেন, সেজন্য আমরা তাদের কাছে ঋণী।

গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যার মধ্যেও অসীম সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন সেখানকার সাংবাদিকরা। গাজার প্রকৃত পরিস্থিতি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছপা হচ্ছেন না তারা। ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর গত প্রায় ৭ মাসে গাজায় ১৪১ জন সাংবাদিক প্রাণ দিয়েছেন এবং ৭০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া চলমান এই যুদ্ধে গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ২০ জন সাংবাদিক, যারা বর্তমানে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইবেল বলেন, ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের কাছে বিশ্ববাসীর বিশাল ঋণ রয়েছে। সারা বিশ্বে আমরা অনেক ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছি। তবে আমাদের বলতে হবে, থামুন।