জরুরি প্রয়োজনে আগে দু’রাকাত নামাজ

জরুরি প্রয়োজনে আগে দু’রাকাত নামাজ

ছবি: সংগৃহীত

আমরা কেউ স্বয়ংসম্পূর্ণ বা অভাবমুক্ত নই। আর আল্লাহ তাআলা হচ্ছেন প্রয়োজন পূরণকারী। বিপদ-মসিবত, অসুস্থতাসহ যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে সবর, দোয়া ও নামাজের শিক্ষা দেয় ইসলাম। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছন,یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اسۡتَعِیۡنُوۡا بِالصَّبۡرِ وَ الصَّلٰوۃِ اِنَّ اللّٰهَ مَعَ الصّٰبِرِیۡنَ ‘হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। (সুরা বাকারা: ১৫৩)

রাসুলুল্লাহ (স.) জরুরি কোনো প্রয়োজনে এবং বিপদে পড়লে দ্রুত নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন এবং দোয়া করতেন। এই নামাজকে সালাতুল হাজত বলা হয়। এরপরে দোয়া করতে হয়। 

দোয়াটি হলো- لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مُوجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنِيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ أَسْأَلُكَ لاَ تَدَعَ لِي ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ وَلاَ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلاَّ قَضَيْتَهَا لِي يا أرحمَ الراحمِين 

উচ্চারণ: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারীম। সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আসআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিকা ও আযায়িমা মাগফিরাতিকা ওয়াল-গানীমাতা মিন কুল্লি বিররিন ওয়াস-সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন লা তাদাআলী যাম্বান ইল্লা গাফারাতহু ওয়া লা হাম্মান ইল্লা ফাররাঝতাহু ওয়া লা হাজাতান হিয়া লাকা রিদান ইল্লা ক্বাদাইতাহা ইয়া আরহামার রাহিমীন।’

অর্থ: ‘পরম সহনশীল ও দয়ালু আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। মহান আরশের রব আল্লাহ অতি পবিত্র। সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে অবধারিত রহমত, তোমার অফুরন্ত ক্ষমা, সকল সদাচারের ভাণ্ডার এবং প্রতিটি পাপাচার থেকে নিরাপত্তা প্রার্থনা করি। আমি তোমার কাছে আরো প্রার্থনা করি যে, তুমি আমার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দাও, আমার দুশ্চিন্তা দূর করে দাও, তোমার সন্তুষ্টিমূলক প্রতিটি প্রয়োজন পূরণ করে দাও।’

প্রিয়নবী (স.) বলেন, ‘যদি তোমাদের কারো আল্লাহর কাছে বা কোনো আদম সন্তানের কাছে কোনো কিছুর প্রয়োজন হয়, সে যেন ভালো করে অজু করে এবং দুই রাকাত নামাজ আদায় করে। অতঃপর আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর রাসুলের প্রতি দরুদ পাঠশেষে এই দোয়া পড়ে। (সুনানে তিরমিজি: ৪৭৯, ইবনে মাজাহ: ১৩৮৪)

সালাতুল হাজতের আলাদা কোনো নিয়ম নেই। স্বাভাবিক নামাজের মতোই উত্তমভাবে অজু করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে। নামাজশেষে আল্লাহ তাআলার হামদ ও ছানা (প্রশংসা) এবং নবী কারিম (স.)- এর ওপর দরুদ-সালাম পাঠ করে নিজের মনের কথা ব্যক্ত করে আল্লাহর নিকট দোয়া করবে। সালাতুল হাজত নামাজ দুই রাকাত বা চার রাকাতও পড়া যায়।