ঘূর্ণিঝড় রেমালের অবস্থান কোথায়, কী বলছে আবহাওয়া অফিস

ঘূর্ণিঝড় রেমালের অবস্থান কোথায়, কী বলছে আবহাওয়া অফিস

ফাইল ছবি

দেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে— গতকাল শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টির সর্বশেষ অবস্থান ছিল পায়রা বন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে। সংস্থাটির দেওয়া সর্বশেষ ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

রোববার (২৬ মে) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেশের উপকূলের দিকেই এগিয়ে আসছে। এর প্রভাবে আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।’

আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল গতকাল মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে এগিয়ে ঘনীভূত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ঘোষণা দেওয়ার পরই পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এর আগে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষর করা ৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিচু এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবের দেশের সব বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।