ফতুল্লায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ ১২

ফতুল্লায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ ১২

সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দুই পক্ষের সন্ত্রাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে টেঁটাবিদ্ধ হয়েছে অন্তত ১২ জন।

এ সময় পাঁচ-ছয়টি বাড়ি ভাঙচুর করেছে তারা। খবর পেয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে ধাওয়া করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ থামিয়েছে পুলিশ।

রোববার (২৬ মে) বিকেলে ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবরনগর এলাকায় রহিম হাজী ও সামেদ আলী পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক আহতদের নাম পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসী জানান, রহিম হাজী ও সামেদ আলী পক্ষের মধ্যে প্রায় এক যুগ ধরে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ চলে আসছিল। বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের একাধিক লোক টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নিহতও হয়েছেন। এতে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি ও ফতুল্লা থানায় অন্তত অর্ধশতাধিক মামলা হয়। আকবর নগর এলাকার কিছু অংশ টঙ্গীবাড়ি থানায় এবং কিছু অংশ ফতুল্লা থানায় অবস্থিত। এতে পুলিশ চেষ্টা করেও তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে পারছে না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে রোববার দুপুর থেকে রহিম হাজী ও সামেদ আলী পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে বিকেলে উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে টেঁটা, রাম দাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০/১২ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়। তাৎক্ষণিক আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। এসময় উভয় গ্রুপের লোকজনই পাঁচ থেকে ছয়টি বাড়ি ভাঙচুর করে।

ফতুল্লা বক্তাবলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মফিজ উদ্দিন জানান, ১৭ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। আকবরনগরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে একাধিক লোকজন টেটাবিদ্ধ হয়েছে। আহতদের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।