রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংঘর্ষ : এ পর্যন্ত বাংলাদেশীসহ নিহত ৮, আটক ১৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংঘর্ষ : এ পর্যন্ত বাংলাদেশীসহ নিহত ৮, আটক ১৪

কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ।

কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে সপ্তাহ ধরে চলা গোলাগুলিতে এ পর্যন্ত নারী ও এক বাংলাদেশীসহ নিহত হয়েছে আটজন। এ সংঘর্ষের ঘটনায় গত দু’দিনে আটক করা হয়েছে ১৪ জনকে।

বুধবার বিকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কুতুপালং ১ নম্বর ক্যাম্প ও আশপাশের ক্যাম্পে পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

আটককৃতরা সবাই কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গা। তাদের বিরুদ্ধে কুতুপালং ক্যাম্পে গত এক সপ্তাহ ধরে গোলাগুলি ও হত্যাকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে উখিয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত গাজী সালাউদ্দীন জানিয়েছেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে ওই সংঘাতে এ পর্যন্ত আটজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরো শতাধিক রোহিঙ্গা। নিহতদের মধ্যে নুরুল হুদা নামে একজন বাংলাদেশী ছিলেন। তিনি টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের বাসিন্দা। মঙ্গলবার বিকেলে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়ে ওই সংঘর্ষের মাঝে পড়ে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন নিহতের ভাই ইসমাঈল।সংঘর্ষে কমপক্ষে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।উখিয়া থানার পুলিশ জানান, ক্যাম্পে হতাহতের ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচটি মামলা হয়েছে।

এদিকে, কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের আটকের জন্য আরো অভিযান চালানো হবে জানিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার পুলিশ রেস্ট হাউসে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যা করা দরকার সবই করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রাখবে। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হওয়ার চেষ্টা করবে পুলিশ।