যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী ১২১৬ জন!

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী ১২১৬ জন!

ছবি:সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ৩ নভেম্বর। নানা কারণে এবার এই নির্বাচন নিয়ে ভিন্ন রকম বিতর্ক। বরাবরের মতোই এবারও নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট জো বাইডেনকে নিয়ে আলোচনা। নির্বাচনে প্রাধান্য বিস্তার করে আছেন তারা দু’জনেই। মিডিয়ার চোখও তাদের দিকে। কিন্তু এই নির্বাচনে মোট কতজন প্রার্থী প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন জানেন? ফেডারেল ইলেকশন কমিশনের ৯ অক্টোবরের হিসাবমত, প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতার ফরম পূরণ করেছেন ১২১৬ জন। তার মধ্যে ট্রাম্প-জো বাইডেন তো আছেনই। এর বাইরে আছেন ১২১৪ জন প্রার্থী।

তারা ছোট ছোট দলের অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাদেরকে নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা নেই। কারণ, তারা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। ২৩০ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতি চলছে। কিন্তু এত দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রথম এবং একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন জর্জ ওয়াশিংটন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

এবার নির্বাচনে লিবারেটারিয়ান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পেয়েছেন জো জর্গেনসেন। তার রানিংমেট হিসেবে আছেন হ্যারি ব্রাউন। গ্রিন পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পেয়েছেন হাউই হকিনস। এ ছাড়া আরো আছেন অনেক প্রার্থী। তাদের মধ্যে তিনজনের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। এর মধ্যে আছেন জেইড সিমন্স। তিনি সাবেক একজন বিউটিকুইন, পেশাদার কনসার্ট পিয়ানিস্ট, মোটিভেশনাল স্পিকার, ‌র‍্যাপার, একজন মা এবং একজন পাস্তুর। তিনি একজন অস্বাভাবিক প্রার্থী। তবে এখন তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অস্বাভাবিক সময়ে। তিনি বলেছেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে এখন এমন এক সময় যখন আমরা স্বাভাবিক ব্যবসা করতে সক্ষম হচ্ছি না।

জেইড সিমন্স বলেছেন, আমি একজন নাগরিক অধিকারকর্মীর মেয়ে। আমার পিতা আমাকে এমনভাবে বড় করেছেন তা ছিল, যখন তুমি অকার্যকর অবস্থা দেখবে, অবিচার দেখবে তখন নিজের কাছে প্রশ্ন করো, তাতে তোমার চুপ করে থাকা উচিত কিনা। জেইড সিমন্স বলেন, তার লক্ষ্য হলো সবার জন্য সমান সুযোগ, অর্থনৈতিক মাধ্যমে, শিক্ষায় ও ক্রিমিনাল ন্যায়বিচার সংস্কার করা। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম খরচের প্রচারণা চালাতে চান।

নির্বাচনে প্রচারণা করছেন আরেকজন প্রার্থী। তিনি ব্রুক পিয়ার্স। তার পরিচয়, তিনি শিশু বিষয়ক সাবেক একজন অভিনেতা। তাকে দেখা গেছে ‘মাইটি ডাকস’-এ। ১৯৯৬ সালে একজন প্রেসিডেন্টের ছেলে হিসেবে অভিনয় করেন ‘ফার্স্ট কিড’ কমেডি ছবিতে। পরে তিনি প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্যোক্তা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। বলা হয়, তিনি সম্ভবত এখন ক্রিপ্টো কারেন্সির বিলিয়নিয়ার। তিনি কেন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করছেন?

এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, দেশের অবস্থা নিয়ে তিনি গভীরভাবে উদিগ্ন। আমার মনে হয় ভবিষ্যত সম্পর্কে আমাদের বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গিতে ঘাটতি আছে। আমি বলতে চাই, আমরা ২০৩০ সালে কেমন পৃথিবীতে বাঁচতে চাই? সে সম্পর্কে আমাদের পরিকল্পনা কি? আমরা কোথায় এগিয়ে যাচ্ছি, আপনি জানেন? আপনাকেতো কিছু একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। কিন্তু আমি দেখতে পারছি প্রচুর কাদা ছোড়াছুড়ি। প্রচুর মানুষের সামনে গেম-চেঞ্জিং আইডিয়া নেই। এটা এক উদ্বেগজনক ব্যাপার। তাই কি করবো সে বিষয়ে আমার একটি দৃষ্টিভঙ্গি আছে।

উল্লেখ্য, গত চার বছর ধরে পুয়ের্তো রিকোতে জনহিতৈষী কাজে মনোযোগ দিয়েছেন পিয়ার্স। এক্ষেত্রে তার ফাউন্ডেশন সম্প্রতি সামনের সারিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য পিপিই কেনার জন্য ১০ লাখ ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছেন। তিনি বলেছেন, জনগণের জীবন, স্বাধীনতা এবং সন্তুষ্টিকে তিনি আরো উন্নত করতে চান।

মার্ক চার্লস একজন নিরপেক্ষ প্রার্থী। তিনি পেশাগত দিক দিয়ে একজন কমিউটার প্রোগ্রামার এবং প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। তিনি মার্কিনিদের সামাজিকতায় পাশে থাকতে চান। কাজ করতে চান সব ধর্মবর্ণের মানুষের জন্য। ট্রাম্প ও বাইডেনে বিরক্ত এমন ভোটারদের কাছ থেকে তিনি ভোট চান।