দলিত-মুসলিম-আদিবাসীদের মানুষ মনে করে না অনেকে : রাহুল

দলিত-মুসলিম-আদিবাসীদের মানুষ মনে করে না অনেকে : রাহুল

রাহুল-আদিত্যনাথ। ফাইল ছবি।

ভারতের জাতিভেদ প্রথার ঘৃণ্য রূপ নিয়ে সরব কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। হাথরাস কাণ্ডকে হাতিয়ার করে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি তথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মানসিকতা নিয়ে। হাথরাস কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের প্রতি পুলিশ তথা উত্তরপ্রদেশ সরকারের আচরণকে কাঠগড়ায় তুলে কংগ্রেস নেতা বলছেন, “আসলে দেশের দলিত, মুসলিম এবং আদিবাসীদের মানুষ হিসেবে গণ্য করে না অনেকে। লজ্জাজনক হলেও এটাই সত্যি।”

উল্লেখ্য, হাথরাস কাণ্ড নিয়ে শুরু থেকেই সরব রাহুল। তিনি এবং তাঁর দল কংগ্রেস শুরু থেকেই ১৪ অক্টোবর দলিত যুবতীর উপর হওয়া অত্যাচারকে দলিতদের উপর ঠাকুরদের অত্যাচারের নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন, বিজেপির শাসনকালে দেশের দলিত, মুসলিম এবং আদিবাসীরা অত্যাচারিত। আবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তথা সরকারের অবস্থান সম্পূর্ণ উলটো। পুলিশ দাবি করছে, হাথরাস কাণ্ডে গণধর্ষণের যে তত্ব খাড়া করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুল। গত ১৪ অক্টোবর কোনও তরুণীর ধর্ষণই হয়নি। পুলিশের দাবি, উত্তরপ্রদেশ সরকারকে বদনাম করার জন্য বিরোধীরা বড়সড় ষড়যন্ত্র ফেঁদেছে। আর তাতে মদত আছে বিদেশি শক্তিরও। নিজেদের তত্বের সপক্ষে বেশ কিছু যুক্তিও খাঁড়া করেছে পুলিশ।

কিন্তু বিরোধীদের দাবি, এসবই ষড়যন্ত্র। উত্তরপ্রদেশ সরকার উচ্চবর্ণের দোষীদের আড়াল করার জন্য নির্যাতিতার পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। ধর্ষণ না হওয়ার তত্ত্ব খাঁড়া করছে। রবিবার (১১ অক্টোবর) সকালে রাহুল গান্ধী টুইট করে দাবি করেছেন, “আসলে আমাদের দেশে অনেকে দলিত-মুসলিম-আদিবাসীদের মানুষ বলে মনে করে না। পুলিশ এবং মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, কাউকে ধর্ষণ করা হয়নি। কারণ, তারা ওই নির্যাতিতাকে মানুষ বলেই গণ্য করে না।” নিজের টুইটে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনও শেয়ার করেছেন রাহুল। যাতে দাবি করা হয়েছে, নির্যাতিতার পরিবার বারবার ধর্ষণের অভিযোগ করলেও দোষীদের আড়াল করতে চাইছে সরকার।