মো. রিয়াজুল হকের দ্বিতীয় বই ‘আল-কুরআনে মোটিভেশন ডিপ্রেশন’ প্রকাশিত হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে অন্বেষা প্রকাশন। প্রচ্ছদ করেছেন মো. জহিরুল হক।
আল-কুরআন
সুইডেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মালমো শহরে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের অবমাননার প্রতিবাদে শত শত মানুষ প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে।
সত্যের উপস্থিতি যেমন মিথ্যাকে তাড়িয়ে দেয়, একটি সূর্যের উপস্থিতি যেমন অন্ধকারের মৃত্যু ঘটায়, তেমনি মুসলিম জীবনে আলোকময় কুরআন ও হৃদয়ের অন্ধত্ব একত্রে বসবাস করতে পারে না।
‘কুরআন কারীম’ একই সাথে বিশ্বাস, জানা ও মানার গ্রন্থ। নিশ্চয়ই কুরআন ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রে তার জীবন্ত উপস্থিতির দাবী নিয়েই এসেছে।
সবার মত আমিও ক্বদর রাতকে খুঁজছি। অনুধাবনের চেষ্টা করছি সেই মহাক্ষণকে- হেরার রশ্মিটি যখন ঠিকরে পড়েছিল আমেনা দুলালের ললাটে আর জিবরিল আমীনের বুকে আলিঙ্গনের পর তিনি পড়তে পেরেছিলেন তাঁর পরম রবের নামে।
আমার সালাতে দাঁড়ানোটা কেমন হলো? আমায় দেখে কি মনে হচ্ছে যে, আমি এক নগন্য বান্দাহ সালাত নামক ইবাদাতের এক মহাসুযোগে বিশ্বজাহানের নিরঙ্কুশ মালিকের দরবারে দাওয়াতপ্রাপ্ত হয়েছি?
সালাত এক বিস্ময়কর ইবাদাত। সম্প্রতি আমার স্মৃতি, আমার অনুভূতি আর যৎসামান্য জানা যেন আমায় বিস্ময়ে বিমূঢ় করে দিচ্ছে। সবুজেঘেরা এক নিভৃত গ্রামে শতবর্ষী মসজিদের দেয়ালঘেষা এক ছোট্ট কুটিয়ে আমার জন্ম ও বেড়ে উঠা।
“স্বপ্নে শুনি নিশি রাতে, যেন কাবার মিনার থেকে, কাঁদছে বেলাল ঘুমন্ত সব মুসলিমেরে ডেকে ডেকে”- মিনারের আহবান, ও যে বেলালের (রা) কান্না-তা আমি আজো বুঝিনি।
“আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল, শুধাইল না কেউ”— হৃদয়েরও একটা ‘ভাষা’ আছে, আছে শোনার একটি ‘কান’। এ ভাষাকে রপ্ত করতে না শিখলে মানবিকতার মুকুট পরা যায় না, স্বাদও মেলে না জীবনের।
গৃহবন্দী রমাদান। স্বাভাবিক ব্যস্ততার মাঝে স্মৃতির এ্যালবাম থেকে কিছু ছবি উপভোগ করছি- যা শব্দহীন ভাষায় আমায় নিরন্তর প্রেরণা যোগায়, শাসন করে আর মনজিলের কথা বার বার স্মরণ করিয়ে দেয়।