দীর্ঘ প্রায় দুই সপ্তাহ যাবৎ গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ি স্থানীয় সময় বুধবার (১৯ মে) সকাল পর্যন্ত এসব হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে ৬৩ শিশু রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হামলা বন্ধের আহবানের পরও ইসরাইল হামলা করে যাচ্ছে।
গাজা
আট দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের কমান্ডার হুসাম আবু হারবিদ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। গ্রুপটি এ ব্যাপারে কোনো তথ্য দেয়নি।
জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেছেন, ইসরাইল ও গাজার মধ্যে চলা সংঘর্ষ চরম আতঙ্কজনক। শিগগির উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বন্ধ করতে হবে।
শিগগিরই গাজায় হামলা বন্ধ হচ্ছে না। রোববার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্যের পর সোমবার গাজা উপত্যকায় নতুন করে হামলা চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী
ফিলিস্তিনের গাজায় অব্যহত ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর বোমা হামলায় রোববার (১৬ মে) নতুন করে আরও ৩৩ জন ফিলিস্তনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে টানা সপ্তম দিনের মতো দখলদার বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮১ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৫২ শিশু ও ৩১ নারী রয়েছে।
যতদিন প্রয়োজন গাজায় হামলা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ।তবে এতে হতাহত যতটা কমানো যায় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি। শনিবার (১৫ মে) টেলিভিশন বক্তৃতায় এ কথা জানান তিনি।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলা সপ্তম দিনে পড়েছে। আজ রোববার ভোর রাত থেকেই ইসরাইল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আল-জাজিরাসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের একটি ভবন বোমা মেরে গুড়িয়ে দিয়েছে। শনিবার (১৫ মে) গাজা উপত্যকায় এ হামলা চালায় দখলদার বাহিনী। ভবনটিতে আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ও অন্য আরও কয়েকটা সংবাদমাধ্যমের কার্যালয় ছিল।
সরে যেতে এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ফিলিস্তিনের গাজায় আলজাজিরা, এপি, মিডল ইস্ট আইসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় গণমাধ্যমের ব্যবহার করা একটি ভবনে হামলা করেছে ইসরাইল।