ঘূর্ণিঝড় মোখার সার্বিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি মনিটরিং করছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঘূর্ণিঝড়
ঘূর্ণিঝড় মোখা আগের চেয়ে আরও বেশি গতিতে কেন্দ্রের দিকে এগোচ্ছে। এখন এ ঝড় ঘণ্টায় প্রায় ২০ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে। এই সংকট মোকাবিলায় কাজ করছে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)। এরই অংশ হিসেবে তারা চালু করেছে জরুরি সেবা নম্বর ৩৩৩।
বাংলাদেশ উপকূল স্পর্শ করেছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। এরই মধ্যে ঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বরিশাল অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর বলছে, মোখা কক্সবাজার এলাকা অতিক্রম করবে রোববার (১৪ মে) দুপুর ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে।
শুক্রবার রাত ৮ টা। বাসাবো মাঠের কাছে দেখা হয় পূর্ব পরিচিত এক সাংবাদিকের সাথে। খুবই ব্যস্ততার সাথে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। অনেকদিন পর দেখা। তাই কেমন আছেন? জিজ্ঞেস করতেই বললেন, 'ভাই ভালো আছি। একটু ব্যস্ত আছি। ঘূর্ণিঝড় মোখার নিউজ কাভার করতে রাতের গাড়িতে কক্সবাজার যেতে হবে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) ২ লাখ ৫০ হাজার সদস্য উপকূলীয় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। জনসচেতনতায় মাইকিং করা, মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক দায়িত্ব পালন করছেন তারা।
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগপরবর্তী সময়ে যাতে সকল ধরনের টেলিযোগাযোগ সেবা অব্যাহত থাকে তা নিশ্চিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনসহ অধীনস্থ সকল সংস্থাসমূহকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদদফরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' আজ (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় সারা দেশে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথে সব প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এটি রোববার (১৪ মে) সকালে আঘাত হানতে পারে। ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটারের দূরে অবস্থান করছে।
সামুদ্রিক ঝড় সৃষ্টি হলে আবহাওয়া অফিস বিপদের ধরণ অনুযায়ী অনেকগুলো সংকেত জারি করে থাকে। এই সংকেতগুলো জারি করার সময় ব্যাখ্যা দেয়া হয় না। সামুদ্রিক ঝড়ের এক সংকেতগুলো অবশ্য নদীবন্দরের জন্য এবং সমুদ্রে চলাচলকারী জাহাজের জন্য।