স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, একদিনে রেকর্ড এক কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে ।তিনি বলেন, বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এরই মধ্যে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ। সবমিলিয়ে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৩ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
টিকা
করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় তিনি টিকা নিয়ে কোনো বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার এক দিনে দেশের ১ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে গণটিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গণটিকাদান কর্মসূচিতে জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াই করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেয়া যাবে। এজন্য সারা দেশের টিকাদান কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ঢাকা উত্তর সিটি (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ১ মার্চ থেকে ডিএনসিসির সেবা পেতে করোনা টিকার সনদ লাগবে।
দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা কর্মসূচির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজের মাধ্যমে টিকার আওতায় এসেছেন ১০ কোটি ৫০ লাখ ৫ হাজার ৩৫৭ জন। এর মধ্যে দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন ৭ কোটি ৯৫ লাখ ১৭ হাজার ৪০৮ জন। আর বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ৭১৮ জন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশ এখন টিকাদানের দিক থেকে বিশ্বে ১০ম স্থানে অবস্থান করছে যা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন।
মহান স্বাধীনতা দিবস (২৬ মার্চ) উপলক্ষে দেশে ১ কোটি ডোজ করোনার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজধানীসহ সারাদেশে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি এক কোটি ডোজ টিকা দেয়া হবে। এখন থেকে টিকার প্রথম ডোজ নিতে রেজিস্ট্রেশন বা জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন হবে না। ২৬ ফেব্রুয়ারিও টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন বা জন্ম নিবন্ধন লাগবে না।
করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় কোভিড-১৯ টিকার গুরুত্ব অপরিসীম। একইভাবে গর্ভবতী নারীদের জন্যও টিকার প্রয়োজনীয়তার কথা অতীতের অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে।
কোভিড-টিকার চতুর্থ ডোজ দেয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের মুখ্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অ্যান্টনি ফাউচি সংবাদ সম্মেলনে সে কথা জানিয়েছেন। কিন্তু কেন? সবে তো তৃতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে?